পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिज्रशैम রাখাল পাশৰে বাড়ি কপাইয়। বাহির হইয়া গেল, সতীশ চৌকির উপর বলিয়া পড়িয়া কছিল, এ-সব কি বেহারী ! বেহারী বলিল, আমি আপনার সঙ্গে যাব বাৰু, এখানে থাকতে পারব না। সতীশ আশ্চর্য্য হইয়া বলিল, আমার সঙ্গে ? এখানে কাজ করবে কে ? বেহারী অবিচলিত দৃঢ়তার সহিত বলিল, যার ইচ্ছে করুক, আমি সঙ্গে যাবই। একজন চাকর না থাকলে ত আপনার চলবে না বাৰু ! এতক্ষণে ব্যাপারটা বুঝিতে পারিয়া সতীশ ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, এ-কথা আগে বললেই ত পারতিস বেহারী । বেহারী জবাব দিল না। নিঃশব্দে জিনিস-পত্র গুছাইয়া লইয়! মুটের মাথায় তুলিয়া দিতে লাগিল । সে যে যাইবেই, তাহাতে আর সন্দেহ রছিল না । নূতন বাসায় আসিয়া সতীশ ভাবিতেছিল, সে এমন হইয় গেল কিরূপে ? যেসে তাঙ্গকে শুধু যে অপমান করিতে সাহস করে, তাহাই নহে, অপমান করিয়া স্বচ্ছন্দে পরিত্রাণ পায় কেন ? তাহার অসাধারণ দৈহিক শক্তি একতিলও কমে নাই, অথচ কেন সে মুখ তুলিয়া জোর করিয়া কহিতে পারে না ? কেন সে নতমুখে সমস্ত সহ করে ? নিজের মনের এই শোচনীয় দুৰ্ব্বলতা আজ তাহাকে অত্যন্ত বাজিল এবং তদপেক্ষা বাজিল এই দুঃখটা যে, প্রতিকার করিবার সাধ্যও যেন তাহার হাত-ছাড়া হইয়া গেছে । রাখালের ক্রুদ্ধ ভাষা যে সে-রক্রির ঘটনার ইঙ্গিত করিয়াছে তাহাতে সন্দেহমাত্র নাই । ইহাই মনে করিয়া সতীশ লজ্জায় মাটির সহিত মিশিয়া যাইতে লাগিল । বিপিনের লোক তাহাকে কেমন করিয়া কিভাবে ধরিয়াছিল, অন্ধকার ঘরের মধ্যে কেমন করিয়া সে মড়ার মত পড়িয়াছিল, বুদ্ধিমান তাহারা কেমন করিয়া সমস্ত চালাকিটা বুঝিতে পারিয়া আচ্ছাদনের ভিতর হইতে টানিয়া লইয়া গিয়াছিল ইত্যাদি চিত্তগ্রাহী দুর্লভ বিবরণ সত্য-মিথ্যায়, অলঙ্কারেআড়ম্বরে জড়াইয়া বণিত হইবার সময়টায় উপস্থিত সকলে কিরূপ উৎকট আনন্দ, আগ্রহ ও উচ্চ হাস্তের সহিত উপভোগ করিয়াছে, তাহার আগাগোড়া চেহারাটা কল্পনায় এতই মৰ্ম্মান্তিক ও বীভৎস হইয়া দেখা দিল যে, একাকী ঘরের মধ্যেও সতীশের সমস্ত মুখ বেদনায় বিবর্ণ হইয়া উঠিল । আবার, ইহাদেরই সম্মুখে রাখাল তাহাকে অপমান করিয়া বিদায় করিয়াছে, সে একটি কথাও বলিতে পারে নাই ! এই কথা সাবিত্ৰী শুনিয়া কি মনে করিবে । কিন্তু কোন কথাই সে বলিবে না । স্তন্ধ হইয়া সমস্ত লাঞ্ছনা সহ করিবে, একটা জবাবও দিবে না । তাছার আত্মসম্মানবোধ যে কত বৃহৎ, ইহাও যেমন লে do. جسدد ج