পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ 각 না বই কি ! তোমরা সব পার । না, সবাই সব কাজ পারে না। না, রাজলক্ষ্মী বলিতে লাগিল, কি জানি রতন মনে মনে কি বুঝলে, কেবলি দেখি আমার মূখের পানে চেয়ে তার দু'চোখ ছলছল করে আসে। তারপরে, তার হাতে যখন চিঠির জবাব দিলুম ডাকে ফেলতে, সে বললে, মা, এ চিঠি ডাকে ফেলতে পারব না—আমি নিজে নিয়ে যাৰ হাতে করে। বললুম, মিথ্যে কতকগুলো টাকা খরচ করে লাভ কি বাবা ? রতন চোখটা হঠাৎ মুছে ফেলে বললে, কি হয়েচে আমি জানিনে মা, কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হয় যেন পদ্মাতীরের তলা ক্ষয়ে গেছে— গাছপালা, বাড়িঘর নিয়ে কখন ষে তলিয়ে যাবে তার ঠিকানা নেই! তোমার দয়ার আমারও আর অভাব নেই মা—এ টাকা তুমি দিলেও আমি নিতে পারব না, কিন্তু বিশ্বনাথ মুধে তুলে যদি চান, আমার দেশের কুঁড়েতে তোমার দাসীটাকে কিছু প্রসাদ পাঠিয়ে দিয়ে, সে বৰ্ত্তে যাবে। বলিলাম, ব্যাটা নাপতে কি সেয়ানা ! শুনিয়া রাজলক্ষ্মী মুখ টিপিয়া শুধু একটু হাসিল। বলিল, কিন্তু আর দেরি कु'ब्रों म! श्रृंt७ ।। দুপুরবেলা আমাকে সে খাওয়াইতে বসিলে বলিলাম, কাল পরনে ছিল আটপৌরে কাপড়, আজ সকাল থেকে বারাণসী শাড়ির সমারোহ কেন বলে। ত ? তুমি বলো ত কেন ? আমি জানিনে । নিশ্চয় জানো । এ কাপড়খানা চিনতে পারো ? তা পারি। বৰ্ম্মা থেকে আমি কিনে পাঠিয়েছিলাম । রাজলক্ষ্মী বলিল, সেদিন আমি ভেবে রেখেছিলুম জীবনের সবচেয়ে বড় দিনটিতে এটি পরব—তা ছাড়া কখনো পরব না । एछांझे प्राटद्रक श्रांछ ? ই, তাই পরেচি আজ । হাসিয়া বলিলাম, কিন্তু সে ত হয়েচে, এখন ছাড়ো গে ? সে চুপ করিয়া রছিল। বলিলাম, খবর পেলাম তুমি এখুনি নাকি কালীঘাটে যাৰে ? রাজলক্ষ্মী আশ্চৰ্য্য হুইয়া কহিল, এখনি ? সে কি করে হবে ? তোমাকে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে ত তবে ছুটি পাৰ ।