পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भद्र९:जॉश्ठिा-जt&jश् রাজলক্ষ্মী বলিল, চাইব আয়ু, চাইব স্বাস্থ্য, আর চাইব আমার ওপর এখন থেকে যেন তুমি কঠিন হতে পার, প্রশ্রয় দিয়ে আর ধেন না আমার তুমি সৰ্ব্বনাশ করে । করতেই ত বসেছিলে । লক্ষ্মী, এ হ’লো তোমার অভিমানের কথা । অভিমান ত আছেই । তোমার সে চিঠি কখনো কি ভুলতে পারব ! অধোমুখে নীরব হইয়া রছিলাম। সে হাত দিয়া আমার মুখখান তুলিয়া ধরিয়া বলিল, তা বলে এও আমার সত্ব না। কিন্তু কঠোর হতে ত তুমি পারবে না, সে তোমার স্বভাব নয়, কিন্তু একাজ আমাকে এখন থেকে নিজেই করতে হবে, অবহেলা করলে চলবে না । জিজ্ঞাসা করলাম, কাজটা কি ? আরও খাড়া উপেস ? রাজলক্ষ্মী হাসিয়া বলিল, উপোসে আমার শাস্তি হয় না, বরং অহঙ্কার বাড়ে। ও আমার পথ নয় } তবে পথটা কি ঠাওরালে ? ঠাওরাতে পারিনি, খুজে বেড়াচ্ছি। আচ্ছা, সত্যিই আমি কখনো কঠিন হতে পারি এ তোমার বিশ্বাস হয় ? शब cशां श्ब्र-धूद श्य । কখ খনো হয় না—এ তোমার মিছে কথা । রাজলক্ষ্মী হাসিয়া মাথা নাড়িয়া বলিল, মিছে কথাই ত । কিন্তু সেই হয়েচে আমার বিপদ গোসাই । কিন্তু বেশ নামটি বার করেচে তোমার কমললতা । কেবল ওগো হ্যাগো করে প্রাণ যায়—এখন থেকে আfমও ডাকব নতুনগোসাইজী বলে । স্বচ্ছন্দে । রাজলক্ষ্মী কহিল, তবু হয়ত আচমকা কখনো কমললতা বলে ভুল হবে, তাতেও স্বস্তি পাব । বলো, ঠিক না ? হাসিলাম, লক্ষ্মী, স্বভাব কখনো মলেও যায় না। বাদশাহী আমলের কেনার্যাদীদের মত কথাই হচ্ছে বটে। এতক্ষণে তার তোমাকে জল্লাদের হাতে সঁপে দ্বিত । শুনিয়া রাজলক্ষ্মীও হাসিয়া ফেলিল, বলিল, জল্লাদের হাতে নিজেই ত সঁপে দিয়েচি । বলিলাম, চিরকাল তুমি এত দুষ্ট যে, কোন জল্পাদের সাহস নেই তোমাকে শাসন 事び ] রাজলক্ষ্মী প্রত্যুত্তরে কি একটা বলিতে গিয়াই তড়িৎবেগে উঠিয়া দাড়াইল, এ কি ! খাওয়া হয়ে এলো যে ! দুখ কই ? মাথা খাও, উঠে পড়ো না যেন। বলিতে বলিতে ক্রতপদে বাহির হইয়া গেল ।