পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ সবাই অবাক হইয়া রহিল। তখন লজ্জায় হাতটা আমার সে তাড়াতাড়ি ছাড়িয়া দিয়া জোর করিয়া হাসিয়া বলিল, ঐ পোড়ারমুখো গোণকারটা মিছামিছি আমাকে এমনি ভয় দেখিয়ে রেখেচে যে— এ কথাটাও সে সম্পূর্ণ করিতে পারিল না এবং মুখের হাসি ও লজ্জার বাধা সত্বেও ফোটা-দুই চোখের জল তাহার গালের উপরে গড়াইয়া পড়িল । আবার একবার সকলের কাছে একে একে বিদায় লওয়া হইল। বড়গোসাই কথা দিলেন এবার কলিকাতায় গেলে আমাদের ওখানে তিনি পদার্পণ করিবেন এবং পদ্মা কখনো শহর দেখে নাই, সেও সঙ্গে যাইবে । স্টেশনে পৌছাইয়া সৰ্ব্বাগ্রে চোখে পড়িল সেই পোড়ারমুখে গোণকার’ লোকটাকে । প্লাটফর্মে কম্বল পাতিয়া বেশ জাকিয়া বসিয়াছে, আশেপাশে লোকও জুটিয়াছে। জিজ্ঞাসা করিলাম, ও সঙ্গে যাবে নাকি ? রাজলক্ষ্মী সলজ্জ হাসি আর একদিকে চাহিয়া গোপন করিল, কিন্তু মাথা নাড়িয়া জানাইল সেও সঙ্গে যাইবে ! বলিলাম, ন, ও যাবে না । কিন্তু ভালো না হোক, মন্দ-কিছু ত হবে না। আমুক না সঙ্গে ? বলিলাম, না, ভালো-মন্দ যাই হোক ও আসবে না। ওকে যা দেবার দিয়ে এখান থেকেই বিদায় করে, ওর গ্রহশান্তি করার ক্ষমতা এবং সাধুতা যদি থাকে যেন তোমার চোখের আড়ালেই করে। তবে তাই বলে দিই, এই বলিয়। সে রতনকে দিয়া তাহাকে ডাকাইতে পাঠাইল । তাহাকে কি দিল জানি না, কিন্তু সে অনেকবার মাথা নাড়িয়া ও অনেক আশীৰ্ব্বাদ করিয়া সহাস্যমুখে বিদায় গ্রহণ করিল। অনতিবিলম্বে ট্রেন আসিয়া উপস্থিত হইলে কলিকাতা অভিমুখে আমরাও যাত্রা করিলাম । ১২ রাজলক্ষ্মীর প্রশ্নের উত্তরে আমার অর্থাগমের বৃত্তান্তটা প্রকাশ করিতে হইল। আমাদের বর্শ্ব-অফিসের একজন বড়দরের সাহেব ঘোড়দৌড়ের খেলার সর্বস্ব হারাইয়া আমার জমানো টাকা ধার লইয়াছিলেন। নিজেই সৰ্ত্ত করিয়াছিলেন শুধু স্থা নয়, মুদিন যদি আসে মুনাফার অৰ্দ্ধেক দিবেন। এবার কলিকাতায় Σ & ο