পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्वेश्व९-नाहिज्रा-नर्देिश् কি না এবং তাঁহাই ঠিক অবগত না হওয়া পৰ্যন্ত বুকের মধ্যে টিপচিপ করিতে লাগিল । শৈলজা কানাইয়ের দিকে চাহিয়া বলিল, ওরে ওই “বিস্তীর্ণ জলরাশি এতক্ষণ হচ্ছিল কি ? কানাই মুখ তুলিয়া দুর্ভিক্ষপীড়িত কণ্ঠে চি চি করিয়া বলিল, আমি নয় মা, ৰিপিন আর পটল । কারণ ইহারাই তাহার বাদিক ডানদিকের মোকদ্দমায় প্রধান শত্রু। সে অসঙ্কোচে এই দুটি নিরপরাধীকে বিমাতার হস্তে অর্পণ করিল। শৈলজা বলিল, কাউকে ত দেখচিনে, এরা সব পালাল কোথা দিয়ে । এবারে কানাই বিপুল উৎসাহে দাড়াইয়া উঠিয়া হাত বাড়াইয়া বিছানা দেখাইয়া বলিল, কেউ পালায়নি মা, সব ঐ লেপের মধ্যে ঢুকেচে । তাহার কথা ও মুখচোখের চেহারা দেখিয়া শৈলজা হাসিয়া উঠিল। দূর হইতে সে ইহার গলাটাই বেশী শুনিতে পাইয়াছিল। এবার বড়ঙ্গাকে সম্বোধন করিয়া বলিল, দিদি, খেয়ে ফেললে যে তোমাকে ! হাত তোমার না ওঠে, একবার ধমকাতেও কি পার না ? ওরে ওই সব ছেলেরা–বেরো—চল আমার সঙ্গে । সিদ্ধেশ্বরী কিছুক্ষণ চুপ করিয়াই ছিলেন, এখন মৃদুকণ্ঠে ঈষৎ বিরক্তভাবে বলিলেন, ওরা নিজের মনে খেলা কচ্চে, আমাকে বা খেয়ে ফেলবে কেন, আর তোর সঙ্গেই বা যাবে কেন ? না না, আমার সামনে কাউকে তোর মারধোর করতে হবে না । যা তুই এখান থেকে—লেপের ভিতর ছেলেরা স্থাপিয়ে উঠচে । শৈলজা একটুখানি হাসিয়া বলিল, আমি কি শুধুই মার-ধোর করি দিদি ? বড় করিস শৈল! ছোট বোনের মত তিনি নাম ধরিয়া ডাকিতেন। বলিলেন, তোকে দেখলে ওদের মুখ যেন কালিবর্ণ হয়ে যায়—আচ্ছা যা না বাপু তুই স্বমুখ থেকে— ওরা বেরুক ! আমি ওদের নিয়ে যাব। অমন করে দিবারাত্রি জালাতন করলে তোমার অমুখ সারবে না। পটল সবচেয়ে শাস্ত, সে শুধু তার বড়মার কাছে শুতে পাবে, আর সবাইকে আজ থেকে আমার কাছে শুতে হবে, বলিয়া শৈলজা জজ-সাহেবের মত রায় দিয়া বডজায়ের দিকে চাহিয়া বলিল, তুমি এখন ওঠো-দুধ খাও—ই রে হরি, সাড়ে ছাঁটার সময় তোর মাকে ওষুধ দিয়েছিলি ত ? প্রশ্ন শুনিয়া হরিচরণের মুখ পাণ্ডুর হইয়া গেল। সে সস্তানদিগের সঙ্গে এতক্ষণ বনেজঙ্গলে ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল, দেশ উদ্ধার করিতেছিল, তুচ্ছ ঔষধ-পথ্যের কথা তাহার মনেও ছিল না। তাহার মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না। কিন্তু লিঙ্কেশ্বরী রুটস্বরে বলিয়া উঠিলেন, ওষুধ-টযুদ্ধ আর আমি খেতে পারব म**ण ! \9