পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বলিলেন, এ পাগলীর কথায় কোনদিন রাগ ক’রে না মেকবোঁ । এই আমাকেই দেখ না —ওকে বকি-ঝকি কত কত গাল-মন্দ করি ; কিন্তু একদণ্ড দেখতে না পেলে বুকের ভেতর কি যেন আঁচড়াতে থাকে—এত দুধ ত খেতে পারব না দিদি ? পারবে, খাও ! # সিদ্ধেশ্বরী আর তর্ক না করিয়া জোর করিয়া সমস্ত থাইয়া ফেলিয়া বলিলেন, এক্ষণি বাছাকে ডেকে আশীৰ্ব্বাদ করিসূ শৈল। এক্ষণি করচি, বলিয়া শৈল হাসিয়া খালি বাটিট হাতে করিয়া বাহির হইয়া গেল । ·ද්‍රි অতুল এমন অপ্রস্তুত জীবনে হয় নাই । শৈশব হইতে আদর-যত্নে লালিত-পালিত ; বাপ-মা কোনদিন তাহার ইচ্ছা ও অভিরুচির বিরুদ্ধে কথা কহিতেন না। আজ সকলের সম্মুখে এত বড় অপমান তাহার সর্বাঙ্গ বেড়িয়া আগুন জালাইয়া দিল । সে বাহিরে আসিয়া নূতন কোটটা মাটিতে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া প্যাচার মত মুখ করিয়া বসিল । আজ হরিচরণে সম্পূর্ণ সহানুভূতি ছিল অতুলের উপর । কারণ তাহারই ওকালতি করিতে গিয়া সে লাস্থিত হইয়াছে—তই সেও তাহাকু পাশে আসিয়৷ মুখ ভারী করিয়া বসিল। ইচ্ছাটা—তাহাকে সাস্তুনা দেয়, কিন্তু সময়োপযোগী একটা কথাও খুজিয়া না পাইয়া মৌন হইয়া রহিল। কিন্তু অতুলের আর ত চুপ করিয়া থাকা চলে না। কারণ অপমানটাই এক্ষেত্রে তাহার একমাত্র ক্ষোভের বস্তু নয়, সে বিদেশ হইতে অনেক ফ্যাসান, অনেক কোট প্যান্ট নেকটাই লইয়া ঘরে ফিরিয়াছে, নানা রকমে অনেক উচুতে তুলিয়া নিজের আসন বঁাধিয়াছে, আজ ছোটখুড়ীমার একটা তিরস্কারের ধাক্কায় অকস্মাৎ সমস্ত ভাঙিয়া-চুরিয়া একাকার হইয়া যায় দেখিয়া সে উৎকণ্ঠায় চঞ্চল হইয়া উঠিল । হরিদাকে উদ্দেশ করিয়া সরোষে বলিল, আমি কারো কথার ধার ধারিনে বাবা ! এ শৰ্ম্ম৷ অতুলচন্দ্ৰ—রেগে গেলে ওসব ছোটখুড়ী-টুড়ি কাউকে কেয়ার করে না। হরিচরণ এদিকে-ওদিকে চাহিয়া ভয়ে ভয়ে প্রত্যুত্তর করিল, আমিও করিনে— চুপ, কানাই আসচে। পাছে নিৰ্ব্বোধ অতুল উহারই সম্মুখে বীরত্ব প্রকাশ করিয়া বসে এই ভয়ে সে ক্রস্ত হইয়া উঠিয়া দাড়াইল । কানাই দ্বারের বাহিরে দাড়াইয়া মোগল বাদশার নকিবের মত উচ্চকণ্ঠে হাকিয়া কহিল, মেজদা, সেজদ, মা ডাকচেন—শীগগির । 象姆叶