পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বন্ধুবাবু এখন ব্যাকা-ট্যারা কথা কয়, আড়ালে দাড়িয়ে গজগজ করে। ভাবি, এর আর বেশী দিন নয়, মা লক্ষ্মী টললেন বলে । আমি এ আশঙ্কা করি নাই, নিরুত্তরে শুনিতে লাগিলাম । মনে হইল রতন কিছুদিন হইতেই ক্রোধে ও ক্ষোভে ফুলিতেছে। কহিল, মা যখন দেন দু'হাতে দেন। বন্ধুকেও দিয়েচেন । তাই ও ভেবেচে নেঙড়ানো মৌচাকের আর দাম কি, বড় জোর এখন জালানোই চলে। তাই ওর এত অগ্রাহ। মুখ্য জানে না যে, আজও মায়ের একখানা গয়না বিক্ৰী করলে অমন পাচখানা বাড়ি তৈরী হয় । জামিও জানিতাম না । হাসিয়া বলিলাম, তাই নাকি ? কিন্তু সে-সব আছে কোথায় ? রতন হাসিয়া কহিল, অাছে তারই কাছে। মা অত বোকা নন | এক আপনার পায়েই সমস্ত উজোড় করে দিয়ে তিনি ভিখিরী হতে পারেন, কিন্তু আর কারও জন্তে নয়। বন্ধু জানে না ষে, আপনি বেঁচে থাকতে মায়ের আশ্রয়ের অভাব নেই, আর রতন বেঁচে থাকতে র্তার চাকরের ভাবনা ভাবতে হবে না । সেদিন কাশী থেকে আপনার অমনি করে চলে আসা যে মা’র বুকে কি শেল বিধেচে, বন্ধুবাবু তার কি খবর রাখে ? গুরুঠাকুরই বা তার সন্ধান পাবে কোথায় ? কিন্তু আমাকে যে তিনি নিজেই বিদায় করেচেন, এ খবর ত তুমি জান রতন ? রতন জিত কাটিয়া লজ্জায় মরিয়া গেল। এতটা বিনয় কখনো তাহার পূৰ্ব্বে দেখি নাই। বলিল, আমরা চাকরবাকর বাবু, এসব কথা আমাদের কানেও শুনতে নাই। ও মিথ্যে । রতন আড়মোড় ভাঙ্গিয়া একটু গড়াইয়া লইতে প্রস্থান করিল। বোধ করি কাল আটটার পূৰ্ব্বে আর তার দেহটা ধাতে আসিবে না। ছুটে বড় খবর পাওয়া গেল। একটা এই ষে, বন্ধু বড় হইয়াছে। পাটনায় যখন তাহাকে প্রথম দেখি তখন বয়স তাহার ষোল-সতেরো। এখন একুশ বৎসরের যুবক । উপরন্তু এই পাঁচ-ছয় বৎসরের ব্যবধানে সে লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ হুইয়া উঠিয়াছে । সুতরাং শৈশবের এই সকৃতজ্ঞ স্নেহ যদি আজ যৌবনের আত্মসম্মানবোধে সামঞ্জস্য রাখিতে না পারে, বিস্ময়ের কি আছে ? দ্বিতীয় সংবাদ-না বন্ধু, না গুরুদেব, রাজলক্ষ্মীর গভীরতম বেদনার কোনও সন্ধান बांछe ऊँींश्रमव्र छांनां ब्रांशे । মনের মধ্যে এই কথা দুটাই বহুক্ষণ ধরিয়া নড়িয়া বেড়াইতে লাগিল । সষত্ন-জঙ্কিত শিলমোহরের গালার ছাপগুলো দেখিয়া লইয়া চিঠি খুলিলাম । 粉制