পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ রমেশ তখন বাটীতেই ছিল— দাদার আহবানে ধীরে ধীরে ঘরের মধ্যে আসিয়া দাড়াইল। গিরীশ তাহার মুখের প্রতি চাহিয়াই বলিয়া উঠিলেন, অতুলের সঙ্গে তুই ঝগড়া করেচিস কেন ? রমেশ আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, ঝগড়া করেচি ? গিরীশ ক্রুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন, আলবত করেচিস্। বলিয়া গৃহিণীর প্রতি চাহিয়া বলিলেন, বড়গিনী বলছিলেন, তুই যা মুখে আসে তাই বলে তাকে গালমন্দ করেচিল। ও কি আমাকে মিথ্যা কথা বললে ? রমেশ অবাক হইয়া সিদ্ধেশ্বরীর মুখের প্রতি চাহিয়া রহিল। সিদ্ধেশ্বরী গৰ্জিয়া উঠিলেন, তোমার কি ভৗমত্বতি ধরেচে ? কখন তোমাকে বললুম, ছোটঠাকুরপো অতুলকে গালমন্দ করেচেন ? হরিশ ভ্রম সংশোধন করিয়া ধীরে ধীরে কহিলেন, না-না, ছোটবেীমা । তখন গিরীশ বলিলেন, ছোটবেীমাই বা কেন গালমন্দ করবেন, শুনি ? সিদ্ধেশ্বরী তেমনি সক্রোধে অস্বীকার করিয়া কহিলেন, সেই বা কেন অতুলকে গালমন্দ করবে ! সেও করেনি। আর যদি করেই থাকে, তাকে বলব আমি। তুমি ছোটঠাকুরপোকে খোচা দিচ্চ কেন ? গিরীশ কছিলেন, আচ্ছ, তাই যেন হ’লে, কিন্তু তুই হতভাগা এমনি অপদার্থ যে, খড়ের দালালি করে আমার চার-চার হাজার টাকা উড়িয়ে দিলি, আর দেখ গে যা বাগবাজারের খীদের । এই খড়ের দালালিতে ক্রোড়পতি হয়ে গেল । হরিশ আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিলেন, খড়ের দালালি ? রমেশ কহিল, আজ্ঞে না, পাটের । গিরীশ রাগিয়া বললেন, তারা আমার মক্কেল—আমি জানিনে, তুই জানিস্ ? খড়ের দালালি করেই তারা বড়লোক । বিলাতে জাহাজ জাহাজ খড় পাঠাচ্চে । হরিশ এবং রমেশ উভয়েই চুপ করিয়া রহিল। গিরীশ তাহাদের মুখপানে চাহিয়া বলিলেন, আচ্ছা, না হয় পাটই হ’লো। এই পাটের দালালী করে তুই কি দুশ একশও করে আনতে পারিসনে ? তোমাদের আমি ত চিরকালট বসে বসে খাওয়াতে পারব না ! যে মাটিতে পড়ে লোক ওঠে তাই ধরে । একবার চার হাজার গেছে—গেছেই । কুছ পরোয় নেই—আর চার হাজার দাও । না হয়, আরো চার হাজার দাও । তা বলে, আমি খেটে মরব, আর তুমি বসে বসে খাবে ? হরিশ মনে মনে অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইয়া স্বত্ত্বকণ্ঠে কহিলেন, সব কাজ শিখতে হয় ; নইলে পাটের দালালিত করলেই হয় না। বার বার এই টাকা মই কর। ত ঠিক নয় । গিরীশ তৎক্ষণাং গায় দিয়া বলিলেন, নই ত। আমি পাটের দালালি 畿教创