পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিস্কৃতি আমি কারো কথা বলিনি নীলা, শুধু বলচি, তোমার রোগ মায়ের সেবা- যত্ন করা উচিত । লিন্ধেশ্বরী মুখ না ফিরাইয়া বলিলেন, সেবাযত্ন করবে ! আমি মলেই বরঞ্চ ওরা বঁাচে । , নয়নতারা কহিল, ভাল, ওই না হয় ছেলেমামুষ, জ্ঞানবুদ্ধি নেই, কিন্তু ছোটবো ত ছেলেমাঙ্গুষ নয়। তার ত বলা উচিত, যা নীলা, দু’মিনিট গিয়ে তোর মায়ের কাছে বোস্ ! না সে নিজে একবার আসবে, না মেয়েটাকে আসতে দেবে। নীলা কি একটা জবাব দিতে গিয়া মুখ ভারী করিয়া দাড়াইয়া রছিল। পিন্ধেশ্বরী মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, তোমাকে সত্যি বলচি মেজবোঁ, আমার এমন ইচ্ছে করে না ষে শৈলর আর মুখ দেখি । আমার যেন সে দুটি চক্ষের বিষ হয়ে গেছে । DDDDD BBBS DDD BB BBBS B DD S DBB BBS BB BBBB BBS তুমি রাগ করলে তাদের আর দাড়াবার জায়গা নেই, এ-কথাটা ত মনে রাখতে হবে। ভাল কথা। এ মাসে উনি পাচশ টাকা পেয়েছিলেন, তার খুচরো ক’টাকা নিজের হাতে রেখে বাকী টাকা তোমাকে দিতে ছিলেন ; এই নাও দিদি, বলিয়া নয়নতারা মাচলের গ্রন্থি খুলিয়া পাচখানা নোট বাহিত্ব করিয়া দিল । উদাসমুখে সিদ্ধেশ্বরী ছাত বাড়াইয়া গ্রহণ করিয়া বলিলেন, নীল, যা তোর ছোটখুড়ীমাকে ডেকে আন লোহার সিন্দুকে তুলে রাখুক । নয়নতারার মুখ কালিযর্ণ হইয়া গেল। এই টাকা দেওয়ার ব্যাপারটা উপলক্ষ করিয়া সে কল্পনায় যে সকল উজ্জল ছবি আঁকিয়া রাখিয়াছিল, তাহার আগাগোড়া মুছিয়া একাকার হইয়া গেল। শুধু যে সিদ্ধেশ্বরীর মুখে আনন্সের রেখাটি মাত্র কুটিল না, তাহ নয়, এই টাকাটা তুলিবার জন্ত অবশেষে এই ছোটবোঁকেই কিম ডাক পড়িল—সিন্ধুকের চাবি এখনও তাহারই হাতে! বন্ধত এই টাকাটা দেওয়া সম্বন্ধে একটুখানি গোপন ইতিহাস ছিল। হরিশের দিবার ইচ্ছা ছিল না, শুধু নয়নতারা মস্ত একটা জটিল সাংসারিক চাল চালিবার জন্মই স্বামীকে নিরস্তর খোচাইয়া খোচাইয়া ইহা বাহির করিয়া জানিয়াছিল। এখন সিদ্ধেশ্বরীর এই নিম্পূহ আচরণে এতগুলো টাকা ত জলে গেলই, উপরন্তু রোধে ক্ষোতে তাহার নিজের মাথাটা নিজের হাতে ভাঙিয়া ফেলিবার ইচ্ছা করিতে লাগিল । শৈল আসিয়া উপস্থিত হইল। ছয়দিনের পরে সে বড়ঙ্গায়ের মুখের পানে চাহিয়া সহজভাবে জিজ্ঞাসা করিল, দিদি কি জামাকে ডাকছিলে ? শৈলর মুখের মাত্র দুটি কথার প্রশ্নই লিঙ্কেশ্বরীর কানের মধ্যে যেন অজস্র মৰু ঢালিয়৷ দিল। তিনি চক্ষের পলকে বিগলিত চিত্তে শশব্যন্তে উঠিয়া বলিয়া বললেন イ*電?