পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निषूडि চাবুক তোর পিঠে ভাঙব । হারামজাদার লেখাপড়ার সঙ্গে সম্বন্ধ নেই, কেবল দিনরাত খেলা আর ঝগড়া ! মণি কই ? পিতার কাছে বকুনি খাওয়াটা ছেলেরা জানিতই না। হরি হতবুদ্ধি হইয়া কহিল, জানিনে । জান না ? তোদের বজাতি আমি টের পাইনে, বটে ? আমার সবদিকে চোখ আছে, তা জানি ? কে তোদের পড়ায় ? ডাক্‌ তাকে ? হরি অব্যক্তকণ্ঠে বলিল, আমাদের থার্ড মাস্টার বীরেনবাবু সকালে পড়িয়ে যান। গিরীশ প্রশ্ন করিলেন, কেন সকালে ? রাত্রে পড়ায় না কেন, শুনি ? আমি চাইনে এমন মাস্টার, কাল থেকে অন্ত লোক পড়াবে। যা, মন দিয়ে পড়,গে যা, ছায়ামজাদা বজাত । হরি শুষ্ক মানমুখে মায়ের মুখের দিকে একবার চাহিয়া ধীরে ধীরে প্রস্থান করিল। গিরীশ স্ত্রীর প্রতি চাহিয়া বলিলেন, দেখেচ, আজকালকার মাস্টারগুলোর স্বভাৰ ? কেবল টাকা নেবে, আর ফাকি দেবে। রমেশকে বলে দিয়ে, কালই যেন এই পয়াণবাবুকে জবাব দিয়ে অন্ত মাস্টার রেখে দেয়। মনে করেচে, আমার চোখে ধুলে দিয়ে সে এড়িয়ে যাবে। সিদ্ধেশ্বর কোন কথা কহিলেন না। স্বামীর মুখের প্রতি শুধু একটা রোষকৰস্থিত তীব্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেলেন এবং গিরীশ কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম সুচারুরূপে সমাপন করিয়াছেন মনে করিয়া হষ্টচিত্তে তৎক্ষণাৎ তাহার কাগজপত্রে মনোনিবেশ করিলেন। টাকা জিনিসটা সংসারে যে আবশ্বকীয় বস্তু, এ খবর সিদ্ধেশ্বরীর যে জানা ছিল ন। তাহ নয়, কিন্তু সেদিকে এতদিন তাহার খেয়াল ছিল না। কিন্তু লোভ একটা মলয়ক বাৰি। নয়নতারার ছোয়াচ লাগিয়া সিদ্ধেশ্বরীরও দেহ-মনে এই ব্যাধি ধীরে ধীরে পরিব্যাপ্ত হইতেছিল। sজই খাওয়া-দাওয়ার পর শৈল এ-বাটা হইতে বিদায় লইবে, এইরূপ একটা জনশ্রুতিতে সিদ্ধেশ্বরীর বুক ফাটিয়া একটা স্বদীর্ঘ ক্ৰন্দন বাহির হইবার জন্ত আকুলিবাকলি করিতেছিল। তিনি সেইটা কোনমতে নিবারণ করিয়া জরের ভান করিয়া Reনজেই পড়িয়ছিলেন, নয়নতারা আসিয়া নিকটে বগিল। গায়ে হাত দিয়া -a উগ্রপ অনুভব করিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করিল এবং ডাক্তার ডাকা উচিত কিনা জিজ্ঞাস কহিল । সিদ্ধেশ্বরী অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, না । ఆకి