পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষ্কৃতি সিদ্ধেশ্বরী মুখ পাংশুবর্ণ করিয়া বলিলেন, আমার যে বিশ্বাস হয় না মেজঠাকুরপো। এখনো যে চন্দ্র-সুধ্যি উঠছে । নয়নতারা খাটের একধারে বসিয়া খেদিকে ঘুম পড়াইতেছিল, মৃদুম্বরে কহিল, সে ত উঠচেই দিদি ৷ জ্ঞার এই ছোটদেওরকেই তোমরা হাজার হাজার টাকা ব্যবসা করতে দিতে । সে-সব ত তখন যায়নি, যাচ্চে এখন । সিদ্ধেশ্বরী দুঃসহ বিস্ময়ে কিছুক্ষণ মৌন থাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মোকদমা কেন ? হরিশ বলিলেন, কেন । দেখলুম, মোকদম্বা না করে উপায় নেই। দেশের বিষয়ই বিষয়। দেখলুম, আমরা গেলে আমাদের মণি হরি বিপিন খুদে এক কাঠা জমি-জায়গা ত পাবেই না—দেশের বাড়িতে ঢুকতে পর্য্যস্ত পাবে না। ধর না বড়বে, দেশে ষা কিছু আছে, সে-ই সমস্ত দখল করে বসে গেছে । খাজনাপঞ্জ BBB BB BBBBBS BBS BBB BBB BBB BB BBB BS SSBBB DS কিছু তা ত দাদাই করেচেন অথচ দাদার চিঠির একটা জবাব পৰ্য্যস্ত দিলে না—এমনি নেমকহারাম রমেশ । আমিও ৰাড়ি থেক্ষে ৰাক্স করে দিয়ে তবে ছাড়ব এই জামায় প্রতিজ্ঞ । সিদ্ধেশ্বরী আবার কিছুক্ষণ চুপ করিয়া খাৰিয়া বলিলেন, আচ্ছ, তারাই বা ছেলেপূলে নিয়ে যাবে কোথায় ? হরিশ বলিলেন, সে খবরে আমাদের ভ দরকার নেই বড়বে। সিদ্ধেশ্বরী জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার দাদা কি বললেন ? হরিশ বলিলেন, দাদা যদি তেমন হতেন, তা হলে .ত ভাবনা ছিল না বড়বে। যখন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম, রমেশ তার খেয়ে-পরে, তার টাকায় তারই বিষয়ে নিয়ে গোলযোগ বাধিয়েচে, তখনই তিনি মত দিলেন। ফৌজদারীতে রমেশ ত দাদাকেই জড়িয়ে তোলবার চেষ্টায় ছিল। অনেক কষ্টে আমাকে সেটা ফাসাতে হয়েচে । নয়নতারা ফিসফিস করিয়া বলিল, আচ্ছা, ছোটঠাকুরপোই যেন দোষী, কিন্তু জামি কেবল ভাবি দিদি, ছোটবোঁ কি করে এতে মত দিলে ? আমরা আর সবাই দুই বজাত হতে পারি, কিন্তু সে তার বটুঠাকুরকে ত চেনে। তাকে জেলে দিয়ে সে কি সুখ পেত ? · --> সিদ্ধেশ্বরীর আপাদমস্তক বারংবার শিহরিয়া উঠিল। তিনি আর একটি কথাও না বলিয়া বাহির হইয়া গেলেন। তথা হইতে আসিয়া সিদ্ধেশ্বরী স্বামীর ঘরে প্রবেশ করিলেন। গিরীশ যথারীতি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মুখ তুলিয়া স্ত্রীর মুখের প্রতি চাহিতেই তাহার অস্বাভাবিক ३१$