পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড় নাম, কত বড় সাড়া পড়ে যাবে ভাবুন দেখি । সৰ্ব্বসাধারণকে স্বীকার করতেই হবে-সে তার আমার—যে, আমাদের সমাজে মানুষ আছে, হৃদয় আছে, স্বাৰ্থত্যাগ আছে। যাকে তারা নিৰ্য্যাতন করে দেশছাড়া করেছিল, সেই মহাত্মার মহীয়লী কস্তা, শুধু তাদের জন্যই এই বিপুল স্বাৰ্থত্যাগ করেছেন। সমস্ত ভারতময় কি moral effect হবে ভাবুন দেখি ? বিজয় । তা বটে, কিন্তু মনে হয় বাবার ঠিক এই ইচ্ছা ছিল না । জগদীশবাবুকে তিনি চিরদিন মনে মনে ভালবাসতেন । বিলাস । এমন হতেই পারে না । সেই চুক্ৰিয়াসক্ত মাতালটাকে তিনি তালবাসতেন এ বিশ্বাস আমি করতে পারি না । বিজয়া। বাবার সঙ্গে এ নিয়ে আমিও তর্ক করেছি । তার কাছেই শুনেছি, তিনি, আপনার বাবা ও জগদীশবাবু এই তিনজনে—শুধু সতীর্থ নয়, পরম্পরের পরম বন্ধু ছিলেন । জগদীশবাবুই ছিলেন সবার চেয়ে মেধাবী ছাত্র, কিন্তু যেমন দুৰ্ব্বল, তেমনি দরিদ্র । বড় হয়ে বাবা ও আপনার বাবা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করলেন, কিন্তু জগদীশবাবু পারলেন না । গ্রামের মধ্যে নিৰ্য্যাতন শুরু হ’ল। আপনার বাবা অত্যাচার সয়ে গ্রামেই রইলেন, কিন্তু বাবা পারলেন না, সমস্ত বিষয়-সম্পত্তির ভার আপনার বাবার উপর দিয়ে, মাকে নিয়ে কলকাতায় চলে এলেন, আর জগদীশবাবু স্ত্রী নিয়ে ওকালতি করতে পশ্চিমে চলে গেলেন । বিলাস । এসব আমিও জানি । বিজয় । জানবার কথাই তো । পশ্চিমে তিনি বড় উকিল হয়েছিলেন । কোন দোবই ছিল না, শুধু স্ত্রী মারা যাবার পর থেকেই তার দুৰ্গতি শুরু হ’ল ? . বিলাস । আমাৰ্জনীয় অপরাধ । বিজয় । তা বটে, কিন্তু এর অনেক পরে আমার নিজের মা মারা গেলে বাবা একদিন কথায় কথায় হঠাৎ বলেছিলেন, কেন যে জগদীশ মদ ধরেছিল সে যেন বুঝতে পারি বিজয়া । * বিলাস। বলেন কি ? তার মুখে মদ খাবার justification ? বিজয়া। আপনি কি যে বলেন বিলাসবাৰু ! Justificanion নয়—বাল্যবন্ধুর ব্যখার পরিমাণটাই বাবা ইঙ্গিত করেছিলেন । সম্রম গেল, স্বাস্থ্য গেল, উপার্জন গেল, সমস্ত নষ্ট করে তিনি দেশে ফিরে এলেন । বিলাস। বড় কীৰ্ত্তিই করেছিলেন । বিজয়া। সব গেল, শুধু গেল না, বোধ হয় আমার বাবার বন্ধুমেহ । তাই যখনই জগদীশবাবু টাকা চেয়েছেন তিনি না বলতে পারেননি। বিলাস । তা হলে ঋণ না দিয়ে দান করলেই তো পারতেন । સ્વાઝ-8 شدهاستهه