পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विश्लष्ट्रों বাড়িতে পূজো হচ্ছে তাদের ভাগনে। [ রাসবিহারীর প্রবেশ ] রাস। তোমাকে খুজছিলাম মা। খবর পেলুম তুমি নদীর দিকে একটু বেড়াতে এসেছ । ভাল কথা—তাকে আমরা নোটিশ দিয়েছি, আবার আমরা যদি ত্বদ করতে যাই, আর পাচজন প্রজার কাছে সেটা কি রকম দেখাবে ভেবে দেখ দিকি ! বিজয় । একখানা চিঠি লিখে তার কাছে পাঠিয়ে দিন না। আমার নিশ্চয়ই বোধ হচ্ছে তিনি শুধু অপমানের ভয়েই এখানে আসতে সাহস করেন না। রাস । ( বিক্রপের ভাবে ) মহা মানী লোক দেখছি । তাই অপমানটা ঘাডে নিয়ে আমাদেরই উপযাচক হয়ে ঠাকে থাকবার জন্যে চিঠি লিখতে হবে ? বিজয় । (কাতর হইয়া) তাতে দোষ নেই কাকাবাবু-জযাচিত দযা করার মধ্যে লজা নেই। স্বাস। ( ঈষৎ হাসিয়া ) মা, তোমার জিনিস তুমি দান করযে, আমি বাদ সাধষ কেন ? আমি শুধু এইটুকুই দেখাতে চেয়েছিলুম যে, বিলাস যা করতে চেয়েছিল তা স্বার্থের জন্তেও নয়, রাগের জন্যেও নয়—শুধু কৰ্ত্তব্য বলেই করতে চেয়েছিল। একদিন আমার বিষয় তোমার বাবার বিষয় সব এক হয়েই তোমাদের দু’জনের হাতে পড়বে। সেদিন বুদ্ধি দেবার জন্ত এ বুড়োটাকে খুজে পাবে না মা । বিলাসের প্রবেশ-পরনে বিলাতী পোষাক, হাতে একটা ছোট ব্যাগ, অত্যন্ত ব্যস্তভাবে ] বিলাস। এই যে তোমরা । বাবা, এখনো বাডি যাবার সময় পাইনি, কলকাতা থেকে ফিরেই শুনলুম তোমরা এসেছ নদীর তীরে বেড়াতে। বেড়ানো! বিরাট কাৰ্য্যভার মাথায় নিয়ে কি করে যে মানুষ আলস্তে সময় কাটাতে পারে আমি তাই শুধু ভাবি। বাবা, একরকম সমস্ত কাজই প্রায় শেষ করে এলুম। কাদের জাহান করতে হবে, কাদের ওপর সেদিনের ভার দিতে হবে, কি কি করতে হবে,—সমস্ত । রাস। সমস্ত ? বল কি ? এর মধ্যে করলে কি করে ? বিলাস । হ্যা, সমস্ত ! আমার কি আর নাওয়া-খাওয়া ছিল! বিজয়া, তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ এই ক’টা দিন আমি রাগ করে আসিনি। যদিও রাগ আমি করিনি, কিন্তু করলেও সেটা কিছুমাত্র অন্যায় হ’তো না ! রাস। কানাই সিং, চলো ত বাবা একটু এগিয়ে দু’পা ঘুরে আলি গে। অনেকদিন নদীর এদিকটায় আসতে পারিনি। কানাই সিং । চলিয়ে হুজুর । রাসবিহারী ও কানাই সিং-এর প্রস্থান । ኧm®