পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ চাক্ষরটাকে একবার পাঠিয়ে দিলে হয় না ? কি বলো ? কিছুতেই কথা খুজিয়া না পাইয়া কোনমতে গুৰু বলিয়া ফেলিলাম, না। না ? না কেন ? বেলা বারোটা পৰ্য্যন্ত দিনটা তো বেশ ভালো। পাজি আছে ? ৰলিলাম, পাঞ্জির দরকার নেই। বিবাহ করতে পারবো না । ঠাকুর্দ হকাটা দেওয়ালে ঠেস দিয়া রাখিলেন। মুখ দেখিয়া বুঝিলাম যুদ্ধের জন্য তিনি প্রস্তুত হইতেছেন । গলাটা বেশ শাস্ত ও গম্ভীর করিয়া কহিলেন, উৰ্যাগ-আয়োজন এক রকম সম্পূর্ণ বললেই হয়। মেয়ের বিয়ে বলে কথা, ঠাট্টা-তামাসার ব্যাপার ত নয় –কথা দিয়ে এসে এখন না বললে চলবে কেন ? প্রচু পিছন ফিরিয়া জানালার বাহিরে চাহিয়া আছে এবং স্বারের আড়ালে রতন কান পাতিয়া রাখিয়াছে বেশ জানি । বলিলাম, কথা দিয়ে যে আসিনি তা আমিও জানি, আপনিও জানেন । বলেছিলাম একজনের অনুমতি পেলে রাজী হতে পারি । অনুমতি পাওনি ? न ! ঠাকুর্দ একমুহূৰ্ত্ত থামিয়া বলিলেন, পুটির বাপ বলে, সৰ্ব্ব রকমে সে হাজার টাকা দেবে। ধরাধরি করলে আর দু-একশ উঠতে পারে । কি বলে হে ? রতন ঘরে ঢুকিয়া বলিল, তামাকটা আর একবার পালটে দেব কি ? দাও । তোমার নামটি কি বাপু ? রতন | রতন ? বেশ নামটি—থাকো কোথায় ? কাশীতে । কাশী ? ঠাকুরুণটি বুঝি আজকাল কাশীতেই থাকেন ? কি করেচেন সেখানে ? রতন মুখ তুলিয়া বলিল, সে খবরে আপনার দরকার ? ঠাকুর্দ ঈষৎ হাস্ত করিয়া বললেন, রাগ করে কেন বাপু, রাগের ত কিছু নেই। গায়ের মেয়ে কিনা, তাই খবরটা জানতে ইচ্ছে করে। হয়ত র্তার কাছে গিয়ে পড়তেই বা হয় । তা ভালো আছে ত ? রতন উত্তর না দিয়া চলিয়া গেল এবং মিনিট-দুই পরেই কলিকায় ফু দিতে দিতে ফিরিয়া আসিয়া কাটা তাহার হাতে দিয়া চলিয়া যাইতেছিল, ঠাকুর্দা সবলে কয়েকটা টান দিয়াই উঠিয় দাড়াইলেণ—দাড়াও ত বাপু, পায়খানাট একবার দেখিয়ে দেবে। ভোরেই বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল কিনা। বলিতে বলিতে তিনি রতনের আগেই ব্যস্ত ফতপদ্ধে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন । ፴ፀ