পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विजग्न বিজয়া। জানিনে দয়ালবাবু। অমুখের মধ্যে পাঠিয়েছিলুম, ঠিক মনে করতে পারিনে তখন কি ভেবেছিলুম। দয়াল । কিন্তু নলিনী বলে নিশ্চয়ই এই । বললে, নরেনের মত ভদ্র, আত্মভোলা, নিঃশ্বাৰ্থপর মানুষকে কেউ কখনো অপমান করতে পারে না এক বিলাসবাৰু ছাড়া। কিন্তু নরেন নিজে কোনমতেই এ কথা বিশ্বাস করতে পারলে না, বললে, ষে-লোক আমার চরম দুৰ্গতির দিনে ওটা দুশো টাকা দিয়ে কিনে দু'দিন পরেই নিজের মুখে চারশো টাকা চায় তার কিছুই অসম্ভব নয় । ওরা বড়লোক, ওদের অনেক ঐশ্বৰ্য্য— তাই আমাদের মত নিঃস্বদের উপহাস করতেই ওরা আনন্দ পায় । কিন্তু যাক গে এসব কথা মা ! তোমাদের উভয়কেই ভালবাসি, ভাবলে আমার ক্লেশ বোধ হয় । (একটুখানি মৌন থাকিয়া) নরেন কিন্তু তোমার বিলাসকে অকপটে ক্ষমা করেছে। এমনি অন্তমনস্ক, নিঃসঙ্গ লোক ও যে, সবাই যখন শুনেছে তোমাদের বিবাহ স্থির হয়ে গেছে, তখনো শোনেনি কেবল ওই ! তোমার ঘর থেকে বা’র করে এনে রাসবিহারীবাৰু যখন তাকে খবর দিলেন তখন শুনে যেন ও চমকে গেল। বিলাসবাবুর রাগের কারণটা বুঝতে পেরে তাকে তখনি ক্ষমা করলে। শুধু এইটুকুই সে আজো ভেবে পায় না যে, তার মত দরিত্র গৃহহীন ছৰ্তাগাকে বিলাসবাবু সন্দেহের চোখে দেখলেন কি ভেবে। এত বড় ভ্রম তার হলো কি করে ? আমিও ঠিক তাই ভাবি, শুধু নলিনীই ঘাড় নাড়ে-সমস্ত কথাই সে শুনেছে! বিজয় । শুনেছেন ? শুনে কি বলেন নলিনী । দয়াল। বলে না কিছুই, শুধু মুখ টিপে হালে! বিজয়া । তিনি কি চলে গেছেন ? দয়াল । না, আজ যাবে । বলেছিল যাবার পথে তোমার সঙ্গে একবার দেখা করে যাবে। কিন্তু তিনটে বাজল বোধ হয়, এল বলে । কিংবা হয়ত নরেনের জন্তে অপেক্ষ করে আছে । বিজয় । কলকাতা থেকে আজ বুঝি তার আসার কথা আছে ? দয়াল। স্থা, আমার স্ত্রীকে দেখতে আসবেন । কিন্তু আমারই হবে সবচেয়ে মুন্ধিল মা, নরেন যদি কলকাতা থেকে চলে যায়। বিজয় । যাবার কথা আছে নাকি ? দয়াল। আছে বইকি। পরশুই তো বলছিল এখানে থাকার আর ইচ্ছে নেই, South Africa-র কোথায় নাকি কাজের সম্ভাবনা আছে—খবর পেলেই রওনা হৰে । বিজয়া। অত দূরে ? 3. দয়াল। আমরাও তাই বলছিলাম। কিন্তু ও বলে, আমার দূরই বা কি, আর কাজেই বা কি ! দেশই বা কি, আর বিদেশই বা কি ! সবই ত সমান । শুনে wo