পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झुजैम्न श्श्चा লাইব্রেরী বিজয়া চিঠি লিখিতেছিল, পরেশের মা প্রবেশ করিল। ] পরেশের মা। রাত্তিরে কিছু খাওনি, আজ একটু সকাল সকাল খেয়ে নাও না দিদিমণি । [ বিজয়া মুখ তুলিয়া চাহিয়া পুনরায় লেখায় মনঃসংযোগ করিল। ] পবেশের মা । খেয়ে নিয়ে তারপরে লিখো। ওঠো-ওম, ডাক্তারবাবু আসছেন যে ! [ বলিয়াই সরিয়া গেল। পরেশ নরেনকে পৌছাইয়া দিয়া চলিয়া গেল। নরেন ঘরে ঢুকিয়াই অদূরে একখানা চৌকি টানিয়া বসিল। তাহার মুখ শুষ্ক, চুল এলোমেলো, উদ্বেগ ও অশান্তির চিহ্ন তাহার চোখেমুখে বিদ্যমান । ] নরেন। কাল আমাকে চিনতে চাননি কেন বলুন তো ! এখন থেকে চিরদিনের মত অপরিচিত হয়ে গেলুম এই বুঝি ইঙ্গিত । বিজয় । আপনার চোপ-মুখ এমন ধারা দেখাচ্ছে কেন, অমুখ-বিসুখ করেনি তো ? এত সকালে এলেন কি করে ? কিছু খাওয়া হয়নি বোধ করি ? নরেন । স্টেশনে চ খেয়েছি। ভোরে উঠেই বেরিয়ে পড়েছিলুম। কাল খেতে পারিনি, ঘুমোতে পারিনি, সারা রাত কেবল এক কথাই মনে হয়েছে, দোর বোধ হয় বন্ধ হলো,—দেখা আর হবে না । বিজয়া। ও-বাড়ি থেকে কাল না খেয়ে পালিয়ে গেলেন, বাসায় ফিরে গিয়ে খেলেন না শুলেন না, আবার সকলে উঠে স্নান নেই থাওয়া নেই, এতটা পথ ইটা, – শরীরটা যাতে ভেঙে পড়ে সেই চেষ্টাই হচ্ছে বুঝি ? আমাকে কি আপনি তটুকু শাস্তি দেবেন না ? নরেন । আপনি অদ্ভুত মাহুষ ! পরের বাড়িতে চিনতে চান না, আবার নিজের বাড়িতে এত বেশী চেনেন যে সে ও আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। কালকের কাণ্ড দেখে ভাবলুম খবর দিলে দেখা করবেন না, তাই বিনা সংবাদে পরেশের সঙ্গে এসে আপনাকে ধরেছি। একটু ক্লান্ত হয়েছি মানি, কিন্তু এসে ঠকিনি । ( বিজয়া নীরবে চাহিয়া বহিল!) কাল ফিরে গিয়ে দেখি সাউথ আফ্রিকা থেকে কেবল এসেছে, আমি চাকরি পেয়েছি! চারদিন পরে করাচী থেকে জাহাজ ছাড়বে—আজ আসতে না পারলে হয়ত আর কখনো দেখাই হতো না। আপনার বিবাহের নিমন্ত্রণ-পত্ৰও পেলুম। দেখে যাবার সৌভাগ্য হবে না, কিন্তু আমার আশীৰ্ব্বাদ, আমার অকৃত্রিম শুভকামনা, & ግ¢