পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ regularly. In Bengal. Perhaps, I am the crily fortunate writer who has not had to struggle.” “আমার শৈশব ও যৌবন ঘোর দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। অর্থের অভাবেই আমার শিক্ষালাভের সৌভাগ্য ঘটেনি। পিতার নিকট হতে অস্থির স্বভাব ও গভীর সাহিত্যাকুরাগ ব্যতীত আমি উত্তরাধিকারসূত্রে আর কিছুই পাইনি । পিতৃদত্ত প্রথম গুণটি আমাকে ঘরছাড়া করেছিল—আমি অল্প বয়সেই সারা ভারত ঘুরে এলাম। পরে পিতার দ্বিতীয় গুণের ফলে জীবন ভরে আমি কেবল স্বপ্ন দেখেই গেলাম । আমার পিতার পাণ্ডিত্য ছিল অগাধ । ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা—এক কথায় সাহিত্যের সকল বিভাগেই তিনি হাত দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনটাই তিনি শেষ করতে পারেননি । তার লেখাগুলি আজ আমার কাছে নেই —কবে কেমন করে হারিয়ে গেছে, সে-কথা আজ মনে পড়ে না । কিন্তু এখনও স্পষ্ট মনে আছে, ছোটবেলায় কতবার অসমাপ্ত লেখাগুলি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছি। কেন তিনি এগুলি শেষ করে যাননি, এই বলে কত দুঃখই না করেছি। অসমাপ্ত অংশগুলি কি হতে পারে, ভাবতে ভাবতে আমার অনেক বিনিদ্র বুজনী কেটে গেছে । এই কারণেই বোধ হয় সতের বৎসর বয়সের সময় আমি গল্প লিখতে শুরু করি । কিন্তু কিছুদিন বাদে গল্প-রচনা অকেজোর কাজ মনে করে আমি অভ্যাস ছেড়ে দিলাম । তারপর অনেক বৎসর চলে গেল । আমি যে কোন কালে একটি লাইনও লিখেছি সে-কথা ভুলে গেলাম । আঠার বৎসর পরে একদিন লিখতে আরম্ভ করলাম । কারণটা দৈব দুর্ঘটনারই মত । আমার গুটিকয়েক পুরাতন বন্ধু একটি ছোট মাসিক-পত্র বের করতে উদ্যোগী হলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠাবান লেখকদের কেউই এই সামান্য পত্রিকায় লেখা দিতে রাজী হলেন না । নিরুপায় হয়ে তাদের কেউ কেউ আমাকে স্মরণ করলেন । বিস্তর চেষ্টায় উারা আমার কাছ থেকে লেখা পাঠাবার কথা আদায় করে নিলেন । এটা ১৯১৩ সনের কথা । আমি নিমরাজী হয়েছিলাম । কোন রকমে তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্মেই আমি লেখা দিতেও স্বীকার হয়েছিলাম। উদেশ্ব, কোন রকমে একবার রেঙ্গুনে পৌছতে পারলেই হয় । কিন্তু চিঠির পর চিঠি আয় টেলিগ্রামের তাড়া আমাকে অবশেষে সত্য সতাই আবার কলম ধরতে

  • ১৯২২ সনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস হইতে প্রথম পৰ্ব্ব "শ্ৰীকান্ত’র ইংরাজী ssain estftw A saam stad K. C. San s Theodesia Thompson, ইহার ভূমিকায় E. J. Thompson শরৎচন্দ্রের ইংরাজী বিবৃতিটি উদ্ধৃত করেন।

భీష్ఠి