পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ई, ७३ ज्र थप्न इच्च । किस्त्र ८क ७ ? কে ও ! ও আমার ইহ-পরকালের নরক-যন্ত্রণা । তাই ত অহরহ ঠাকুরকে কেঁদে বলি, প্রস্তু, আমি তোমার দাসী-মানুষের উপর থেকে এত বড় ঘৃণা আমার মন থেকে মুছে দাও-আমি আবার সহজ নিশ্বাস ফেলে বাচি । তাহার চোখের দৃষ্টিতে যেন আত্মগ্লানি ফুটিয়া উঠিল, আমি চুপ করিয়া রহিলাম । বৈষ্ণবী কহিল, অথচ ওর চেয়ে আপন একদিন আমার কেউ ছিল না— জগতে আত ভালো বোধ করি কেউ কাউকে বাসেনি। তাহার কথা শুনিয়া বিস্ময়ের সীমা রহিল না এবং এই মুরূপা রমণীর তুলনায় সেই ভালবাসার পাত্রটির কুৎসিত কদাকার মূৰ্ত্তি স্মরণ করিয়া মনও ভারী ছোট হুইয়া গেল । বৃদ্ধিমতী বৈষ্ণবী আমার মূখের প্রতি চাহিয়া তাহা বুঝিল, কহিল, গোসাই, এ ত শুধু ওর বাইরেট -- ওর ভিতরের পরিচয়টা শোন । বলো । বৈষ্ণবী বলিতে লাগিল, আমার আরও দুটি ছোট ভাই আছে, কিন্তু বাপমায়ের আমিই একমাত্র মেয়ে । বাড়ি আমাদের শ্রীহট্রে, কিন্তু বাবা কারবারী লোক, র্তার ব্যবসা কলকাতায় ব’লে ছেলেবেলা থেকে আমি কলকাতায় মাতুষ-মা সংসার নিয়ে দেশের বাড়িতেই থাকেন, আমি পূজোর সময় যদি কখনো দেশে যেভূম মাসথানেকের বেশী থাকতে পারতুম না। আমার ভালোও লাগত না। কলকাতাতেই আমার বিয়ে হয়, সতেরো বছর বয়সে কলকাতাতেই আমি তাকে হারাই, তার নামের জন্তেই গোসাই, তোমার নামটা গহরগোসাইয়ের মুখে শুনে আমি চমকে উঠি । এইজন্যেই নতুনগোসাই বলে ডাকি, ও নামটা তোমার মুখে আনতে পারিনে। বলিলাম, সে আমি বুঝেচি, তারপর ? বৈষ্ণবী কহিল, যার সঙ্গে তোমার আজ দেখা তার নাম মন্মথ, ও ছিল আমাদের সরকার। এই বলিয়া সে একমূঃ ওঁ মৌন থাকিয়া কহিল, আমার বয়স যখন একুশ বছর তখন আমার সস্তানসম্ভাবনা হ’লো— বৈষ্ণবী বলিতে লাগিল, মন্মথর একটি পিতৃহীন ভাইপো আমাদের বাসায় থাকত, বাবা তাকে কলেজে পড়াতেন । বয়সে আমার চেয়ে সামান্ত ছোট ছিল, আমাকে সে ষে কত ভালবাসত তার সীমা ছিল না । তাকে ডেকে বললুম, যতীন, কখনো তোমার কাছে কিছু চাইনি ভাই, আমার এ বিপদে শেষবারের মত আমাকে একটু সাহায্য করে, অামাকে একটাকার বিষ কিনে এনে দাও। কথাটা সে প্রথমে বুঝতে পারেনি, কিন্তু যখন বুঝলে মুখখানা তার মড়ার মত ফ্যাকাশে হয়ে গেল। বললুম, দেরি করলে হবে না ভাই, তোমাকে এখুনি কিনে এনে দিতে হবে । এছাড়া আমার আর অন্ত পথ নেই । tös