পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ এবার বকৰা একটুখানি হাসিন্ধ। কছিল, ন, সেও তোমাকে আমি বলব না। তোমার যা ইচ্ছে হয় ভাবে গে গোঁসাই, একনি আপনিই তার জবাব পাবে। অনেকবার মূখে আসিয়া পড়িতে চাহিল-আজ আর সময় নেই কমললতা, কাল ষাবো-কিন্তু কিছুতেই এ কথা বলা হ’ল না। চলিলাম । পদ্মা আসিয়া কাছে দাড়াইল। কমললতার দেখাদেখি সেও হাত তুলিয়া নমস্কার করিল। বৈষ্ণবী তাহাকে রাগ করিয়া বলিল, হাত তুলে নমস্কার কি রে পোড়ারমুখী, পায়ের ধূলো নিয়ে প্রণাম কর। কথাটায় যেন চমক লাগিল। তাহার যুধের পানে চাছিতে গিয়া দেখিলাম সে তখন আর একদিকে মুখ ফিরাইয়াছে। আর কোন কথা না বলিয়া তাহাদের আশ্রম ছাড়িয়া তখন বাহির হইয়া আসিলাম । ఏ আজ অবেলায় কলিকাতার বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করিয়া বাহির হইয়াছি । তারপরে এর চেয়েও দুঃখময় বর্শায় নিৰ্ব্বাসন । ফিরিয়া আসিবার হয়ত আর সময়ও হইবে না, প্রয়োজনও ঘটবে না। হয়ত এই যাওয়াই শেষের ষাওয়া । গনিয়া দেখিলাম আর দশদিন। দশটা দিন জীবনের কতটুকুই বা । তথাপি মনের মধ্যে সন্দেহ নাই দশদিন পূৰ্ব্বে ষে-আমি এখানে আসিয়াছিলাম এবং ষে-জামি বিদায় লইয়া জাজ চলিয়াছি, তাহারা এক নয় । অনেককেই সখেদে বলিতে শুনিয়াছি, অমুক ষে এমন হইতে পারে তাহ কে ভাবিয়াছে ! অর্থাৎ অমুকের জীবনটা ষেন সূৰ্যগ্রহণ চন্দ্রগ্রহণের মত তাছার অনুমানের পাজিতে লেখা নিতুল হিসাব। গরমিলট গুৰু অভাবিত নয়, অন্যায়। যেন তাহার বুদ্ধির আঁক-কষার বাহিরে দুনিয়ার আর কিছু নাই। জানেও না সংসারে কেবল বিভিন্ন মাছুষই আছে তাই নয়, একটা মানুষই যে কত বিভিন্ন মামুষে রূপান্তরিত হয় তাহার নির্দেশ খুজিতে যাওয়া বৃথা। এখানে একটা নিমেষও তীব্রতায় সমস্ত জীবনকেও অতিক্রম করিতে পারে । সোঙ্গ রাস্ত ছাড়িয়া বনবাদাড়ের মধ্য দিয়া এপথ-ওপৰ ঘুরিয়া ঘুরিয়া স্টেশনে চলিয়াছিলাম। অনেকটা ছেলেবেলায় পাঠশালে যাইবার মত । ট্রেনের সময় জানি না, তাগিদও নাই—শুধু জানি ওখানে পৌঁছিলে যখন হৌক গাড়ি একটা או"