পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত মনে মনে বলিলাম, ব্যাটা নাপতে বিনয়ের অবতার। কিছুতেই অপ্রতিত হয় না। মুখে বলিলাম, তা হলে কাছাকছি কোন দোকানে খুজে ছাথ যদি প্রসাদের ৰোগাড় করে আনতে পারিস্, কিন্তু শুভাগমন হ’লো কিসের জন্যে ? আবার চিঠি আছে নাকি ? রতন কহিল, আজ্ঞে না । চিঠি লেখালেধিতে অনেক ভজকটো । যা বলবার उिनि यू८थशे बलादन । তার মানে আবার আমাকে যেতে হবে নাকি ? আঞ্জে, না । মা নিজেই এসেচেন । শুনিয়া অত্যস্ত ব্যস্ত হইয়া পড়িলাম। এই রাত্রে কোথায় রাখি, কি বন্দোবস্ত করি ভাবিয়া পাইলাম না। কিন্তু কিছু ত একটা করা চাই ; জিজ্ঞাসা করিলাম, এসে পৰ্য্যস্ত কি ঘোড়ার গাড়িতেই বসে আছেন নাকি ? রতন হাসিয়া কহিল, মা সেই মানুষই বটে। না বাবু, আমরা চারদিন হ’লে৷ এসেচি—এই চারটে দিনই আপনাকে দিনরাত পাহারা দিচ্চি। চলুন ? কোথায় ? কতদূর ? দূরে একটু বটে, কিন্তু আমার গাড়ি ভাড়া করা আছে, কষ্ট হবে না । অতএব, আর একদফা জামাকাপড় পরিয়া দরজায় তালা বন্ধ করিয়া যাত্রা করিতে হইল। খামবাজারের কোন একটা গলির মধ্যে একখানি দোতালা বাড়ি, স্বমুখে প্রাচীরঘেরা একটুখানি ফুলের বাগান। রাজলক্ষ্মীর বুড়ে ঘরোয়ান দ্বার খুলিয়াই আমাকে দেখিতে পাইল ; তাহার আনন্দের সীমা নাই --ঘাড় নাড়িয়া মস্ত নমস্কার করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা বাবুজী ? বলিলাম, ই তুলসীদাস, ভালো আছি। তুমি ভালো আছ ? প্রত্যুত্তরে সে তেমনি আর একটা নমস্কার করিল। তুলসী মুঙ্গের জেলার লোক, জাতিতে কুৰ্ম্মী, ব্রাহ্মণ বলিয়া আমাকে সে বরাবর বাঙলা রীতিতে পা ছুইয়া প্ৰণাম করে } আর একজন হিন্দুস্থানী চাকর আমাদের শব্দ-সাড়ায় বোধ করি সেইমাত্র ঘুম ভাঙিয়া উঠিয়াছে, রতনের প্রচণ্ড তাড়ায় সে উদ্বুদ্ৰান্ত হইয়া পড়িল । অকারণে অপরকে থমক দিয়া রতন এ-বাড়িতে আপন মর্য্যাদা বহাল রাখে । বলিল, এসে পৰ্য্যস্ত কেবল ঘুম মারচো আর রুটি সাটচো বাবা, তামাকটুকু পৰ্যন্ত সেজে রাখতে পারনি । ষাও जणक्-ि এ লোকটি নূতন, তয়ে ছুটাছুটি করিতে লাগিল। ÞAD