পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ছেলেরা যদি তাদের মামাদের মত না হয়ে বাপের মতই হয়ে উঠে ত কি করা যাবে! মাথার টিকির বদলে টুপী পরে বলেই যে মাথাটা কেটে নেওয়া উচিত, আমার তা মনে হয় না । সেই অবধি করুণাময়ী ছেলেদের সম্বন্ধে একেবারে নির্বাক হইয়া গিয়াছিলেন। কেবল নিজের আচার বিচার নিজেই নীরবে ও অনাড়ম্বরে পালন করিয়া চলিতেন । তাহার পরে স্বামীর মৃত্যুতে বিধবা হইয়া তিনি গৃহে বাস করিয়াও একপ্রকার গুহ হইতে স্বতন্ত্র হইয়া গিয়াছিলেন। উপরের যে ঘরটায় তিনি থাকিতেন, তাহারই পার্থের বারান্দায় খানিকটা বিরিয়া লইয়া তাহার উড়ার ও স্বহস্তে রারার কাজ চলিত। বধূদের হাতেও তিনি খাইতে চাহিতেন না। এমনিভাবেই দিন চলিতেছিল। এদিকে অপূর্ব মাথায় টিকি রাখিয়াছিল, কলেজে জলপানি ও মেডেল লইয়া যেমন সে পাশও করিত, ঘরে একাদশী-পূর্ণিমা-সন্ধ্যাহিকও তেমনি বাদ দিত না । মাঠে ফুটবল-ক্রিকেট-হকি খেলাতেও তাহার যত উৎসাহ ছিল, সকালে মায়ের সঙ্গে গঙ্গাস্নানে যাইতেও তাহার কোনদিন সময়াভাব ঘটিত না । বাড়াবাড়ি ভাবিয়া বধুর মাঝে মাঝে তামাসা করিয়া বলিত, ঠাকুরপো, পড়াশুনা ত সাঙ্গ হলো, এবার ডোর-কোপনি নিয়ে একটা রীতিমত গোসাই-টোসাই হয়ে পড়। এযে দেখচি বামুনের বিধবাকেও ছাড়িয়ে গেলে । অপূৰ্ব্ব সহস্তে জবাব দিত, ছাড়িয়ে যেতে কি আর সাধে হয় বৌদি ? মায়ের একটা মেয়ে-টেয়ে নেই, বয়স হয়েচে, হঠাৎ অসমর্থ হয়ে পড়লে এক মুঠো হবিন্ধি রোধেও ত দিতে পারব ? আর ডোর-কোপনি যাবে কোথা ? তোমাদের সংসারে যখন আছি, তখন একদিন তা সম্বল করতেই হবে। বড়বন্ধু মুখখানি মান করিয়া কহিত, কি করব ঠাকুরপো, সে আমাদের কপাল ! তা বটে। বলিয়া অপূর্ব চলিয়া যাইত, কিন্তু মাকে গিয়া কহিত, মা, এ তোমার বড় অন্যায়। দাদারা যাই কেন-ন করুন, বৌদিরা কিছু আর মুর্গিও খান না, হোটেলেও ভিনার করেন না, চিরকালটা কি তুমি রেখেই খাবে ? মা কহিতেন, একবেলা একমুঠো চাল ফুটিয়ে নিতে ত আমার কোন কষ্টই হয় না ৰাবা। আর নিতান্তই যখন অপারগ হব, ততদিনে তোর বোঁও ঘরে এসে পড়বে। অপূর্ব বলিত, তাই কেন না একটা বামুন-পণ্ডিতের ঘর থেকে জানিয়ে নাও মা মা ? খেতে দেবার সামর্থ্য আমার নেই, কিন্তু তোমার কষ্ট দেখলে মনে হয় দাদাদের अलढांश् हाब्रहे न इद्र थांकद । মা মাতৃগৰ্ব্বে দুই চক্ষু দীপ্ত করিয়া কহিতেন, অমন কথা তুই মুখেও জানিললে è,