পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰেৱ জাৰী বহুক্ষণ হইতেই ভারতীর বাক্যে শণীর কবি-চিত্ত শ্রদ্ধায় ও অম্বুরাগে বিগলিত হইয়া আসিতেছিল। সে গদগম্বকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ভারতীকে আমি সম্পূর্ণ অঙ্গুমোদন করি ডাক্তার। আমারও বিশ্বাস সে সভ্যতা ভারতের ফিরে আসবেই আসবে । ভাক্তার উভয়ের মুখের প্রতি চাহিয়া কহিলেন, তোমরা ভারতের কোন যুগের সভ্যতার ইঙ্গিত কোরচ আমি জানিনে, কিন্তু সভ্যতার একটা সীমা আছে। ধৰ্ম্ম অহিংসা ও শাস্তির নেশায় তাকে অতিক্রম করে গেলে মরণ আসে । কোন দেবতাই তাকে রক্ষা করতে পারে না । ভারতবর্ষ হুনদের কাছে কবে পরাজয় স্বীকার করেছিল জানো ? ষখন তারা ভারতবাসী শিশুদের মশালের মত করে জালাতে আরম্ভ করেছিল, নারীর পিঠের চামড়া দিয়ে লড়াইয়ের বাজনা তৈরি করতে শুরু করেছিল। সে অভাবিত নৃশংসতার জবাব ভারতবাসী দিতে শেখেনি। তার ফল কি হল ? দেশ গেল, রাজ্য গেল, দেবমন্দির ধ্বংস বিধ্বস্ত হয়ে গেল,—সে অক্ষমতার শাস্তি আজও আমাদের ফুরোয়নি । an ভারতীকে লক্ষ্য করিয়া কহিলেন, তুমি কবির শ্লোক প্রায় আবৃত্তি করে বল, গিয়েছে দেশ দুঃখ কি, আবার তোরা মানুষ হ । কিন্তু দেশ ফিরে পাবার মত মাহূব হওয়া কাকে বলে শুনি ? ভেবেচ, মাহুষ হবার পথ তোমার অবারিত মুক্ত ? ভেবেচ, দেশের দরিদ্র নারায়ণের সেবা আর ম্যালেরিষ্কার কুইনিন জুগিয়ে বেড়ানোকেই মাহৰ হওয়া বলে ? বলে না। মানুষ হয়ে জন্মানোর মৰ্য্যাদা-বোধকেই মানুষ হওয়া বলে ! মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পাওয়াকেই মানুষ হওয়া বলে। মুহূৰ্ত্তকাল মৌন থাকিয়া পুনশ্চ কহিলেন, তোমার বিশেষ অপরাধ নেই ভারতী । ওদের আবহাওয়ার মধ্যেই তুমি প্রতিপালিত, তাই তোমার মনে হয় ইয়োরোপের ক্রীশ্চান সভ্যতার চেয়ে বড় সভ্যতা আর নেই। অথচ, এতবড় মিছে কথাও আর নেই। সভ্যতার অর্থ কি শুধু মানুষ-মারার কল তৈরি করা ? দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না, – অতএব আত্মরক্ষার ছলে এর নিত্য নুতন স্বাক্টরও আর বিরাম নেই। কিন্তু সভ্যতার যদি কোন তাৎপর্ষ্য থাকে ত সে এই যে, অক্ষম দুৰ্ব্বলের স্থাষ্য অধিকার ধেন প্রবলের গায়ের জোরে পরাভূত না হয় । কোথাও দেখের্চ এদের এই নীতি, এই স্তায়ের গৌরব দিতে ? একদিন তোমাকে বলেছিলাম পৃথিবীর মানচিত্রের দিকে চেয়ে দেখতে । স্মরণ আছে সে কথা ? মনে আছে আমার মুখে চীনদেশের বক্সার বিদ্রোহের গল্প ? মুসভ্য ইয়োরোপীয়ান পাওয়ারের দল ঘর-চড়াও হয়ে তাদের ধে প্রতিহিংসা দিলে কোথায় লাগে তার কাছে চেঙ্গিস খ ও নাদির শার বীভৎসতার কাহিনী স্বৰ্য্যের কাছে দ্বীপের মত সে অকিঞ্চিৎকর । হেতু যত তুচ্ছ এবং যত অস্কায় হোক, লড়াইয়ের ছুতো পেলে এদের আর কিছুই বাধে না । বৃদ্ধ, Գեծ эмеи-еъ