পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बरहथें সেই খুটা, সেই তৃণহীন শৃঙ্গ আধার, সেই ক্ষুধাতুর কালে চোখের সজল উৎজক দৃষ্টি। একজন বুড়ো-গোছের মুসলমান তাহাকে অত্যন্ত তীব্র চক্ষু দিয়া পৰ্যবেক্ষণ করিতেছিল। অদূরে একধারে দুই হাটু জড় করিয়া গফুর মিঞা চুপ করিয়া বসিয়াছিল, পরীক্ষা শেষ করিয়া বুড়া চাদরের খুট হইতে একখানি দশ টাকার নোট বাহির করিয়া তাহার ভাজ খুলিয়া বার বার মন্থণ করিয়া লইয়া তাহার কাছে গিয়া কহিল, আর ভাঙাব না, এই পুরোপুরিই দিলাম -নাও। গফুর হাত বাড়াইয়া গ্রহণ করিয়া তেমনি নিঃশবেই বসিয়া রছিল। ষে দুইজন লোক সঙ্গে আসিয়াছিল তাহারা গরুর দড়ি খুলিবার উদ্যোগ করিতেই কিন্তু সে অকস্মাৎ সোজা হইয়া উঠিয়া দাড়াইয়া উদ্ধতকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, দড়িতে হাত দিয়ো না বলচি—খবরদার বলচি, ভাল হবে না - - তাহারা চমকিয় গেল। বুড়ে আশ্চৰ্য্য হইয়া কছিল, কেন ? গফুর তেমনি রাগিয়া জবাব দিল, কেন আবার কি। আমার জিনিস আমি বেচব না—আমার খুশি । বলিয়া সে নোটখানা ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । তাহারা কহিল, কাল পথে আসতে বায়না নিয়ে এলে ৰে ? এই নাও না তোমাদের বায়না ফিরিয়ে। বলিয়া সে ট্যাক হইতে ছুটে টাকা বাহির করিয়া ঋনাং করিয়া ফেলিয়া দিল । একটা কলহ বাধিবার উপক্রম হয় দেখিয়া হাসিয়া ধীরভাবে কহিল, চাপ দিয়ে আর দুটাকা বেশি নেবে, এই ত ? দাও হে, পানি খেতে ওর মেয়ের হাতে দুটো টাকা দাও। কেমন, এই না ? माँ । কিন্তু এর বেশি কেউ একটা আধলা দেবে না তা জানো ? গফুর সঙ্গোরে মাথা নাড়িয়া কহিল, না । বুড়ে বিরক্ত হইল, কহিল, না ত কি ? চামড়াটাই যা দামে বিকোবে, নইলে মাল আর আছে কি ? - তোবা! তোবা । গফুরের মূখ দিয়ে হঠাৎ একটা বিস্ত্র কটু কথা ৰাছির হইয়া গেল এবং পরক্ষণেই সে চুটিয়া গিয়া নিজের ঘরে ঢুকিয়া চীৎকার করিয়া শাসাইতে লাগিল ষে তাহারা যদি অবিলম্বে গ্রাম ছাড়িয়া না যায় ত জমিদারের লোক ডাকিয়া জুতা-পেটা করিয়া ছাড়িবে। হাঙ্গামা দেখিয়া লোকগুলা চলিয়া গেল, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জমিদারের সম্বর হইতে তাহার ডাক পড়িল । গফুর বুঝিল, এ কথা কৰ্ত্তার কানে গিয়াছে । সম্বরে ভদ্র অভদ্র অনেকগুলি ব্যক্তি বসিয়াছিল, শিবৰাৰ চোখ রাঙা করিদ্ধা Noo