পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧. છાણ, s૭૨૭ (כצפצ 5קיetiי טא) ...আমার একটু পরিচয় চাই না কি ? কিন্তু রাজলক্ষ্মী আবার কে ? কেউ নেই!--"ঐক্যস্ত’ট। আর একবার পড়ে দেখে । হয়ত তার উপর স্বৰ্ণাই হবে। কিন্তু সব কল্পনা, সব কল্পনা, বেবাক্ মিথ্যে। তারপরে আমার বিস্তেসিন্তে কিছু নেই। বড় দরিদ্র ছিলাম—২৭টি টাকার জন্ত একজামিন দিতে পাইনি। এমন দিন গেছে যখন ভগবানকে জানতাম, হে ভগবান, আমার কিছুদিনের জন্যে জর করে দাও তাহলে দু-বেলা খাবার ভাবনা ভাবতে হবে না, উপবাস ক’রেই দিন কাটবে। অবগু বেশি দিনের জন্তে এ অবস্থা ছিল না। মায়ের মৃত্যুর পরে বাবা প্রায় পাগলের মতো হয়ে যা কিছু ছিল সমস্ত বিলিয়ে নষ্ট করে দিয়ে স্বর্গগত হন। তারপরে পড়তে শুরু করি । ১৪ বছর ১৪ ঘণ্টা ধরে পড়ি । সেই যে একজামিন দিতে পারি নি। কেবল সেই রাগে । বৰ্ম্মার রেজুনে ছিলাম কেরাণী—হঠাৎ বড় সাহেবের সঙ্গে মারামারি করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই ব্যবসা আরম্ভ করেছি। কিন্তু অকস্মাৎ এমনি কপাল ফিরে গেল যে রাতারাতিই একটা বিখ্যাত লোক হয়ে গেলাম। মাঝে মাঝে সন্ন্যাসীর চেলা হয়েও দিন কাটাতে ছাড়িনি। আমার এই জীবনট আগাগোড়াই যেন একটা মস্ত উপন্যাস । এবং এই উপন্যাসে সব কাজই করেছি, কেবল ছোট কাজ কখনো করিনি। যখন মরব—ফসর্ণ খাতা রেখে যাবো—যার মধ্যে কালির আঁচড় এক জায়গাও থাকবে না । বাজে শিবপুর, হাওড়া ৯ই আগস্ট, ২• পরম কল্যাণীয়াস্ক-আমার মানসিক পরিবর্তন সম্বন্ধে একটা প্রশ্ন তুমি বহুদিন হইতে করিয়া আসিতেছ, এবং বহুদিন হইতেই আমি নীরবে আছি। কিন্তু আমার মত যখন তোমার বয়স হইবে, তখন হয়ত ইহা বুঝিতে পরিবে যে জগতে মানুষের এমন কথাও থাকিতে পারে যাহা কাহারও কাছে ব্যক্ত করা যায় না । গেলেও তাহাতে কল্যাণের চেয়েও অকল্যাণের মাত্রাই বাড়ে । অথচ, এই নীরবতার শাস্তি অতিশয় কঠিন। ভীষ্ম যে একদিন স্তব্ধ হইয়া শরবর্ষণ সহ্য করিয়াছিলেন সে কথাটা চিরদিনের জন্ত মহাভারতে লেখা হইয়া গেল, কিন্তু কত অলিখিত মহাভারতে যে এমন কত শরশষ্য নিত্যকাল ধরিয়া নিঃশব্দে রচিত হইয়া আসিতেছে তাহার একটা ছত্রও কোথাও বিদ্যমান নাই। এমনি করিয়াই সংসার চলিতেছে।" 锡°●