পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३अtवं चांचेिन, १७७> ঐচরণেষু— আমার বিজয়ার শতকোটি প্রণাম গ্রহণ করিবেন । ইতিমধ্যে আপনি নানা গুরুতর কাজে ব্যাপৃত ছিলেন এবং শাস্তিনিকেতনেও থাকিতে পারেন নাই—এই জন্যই প্রণাম নিবেদন করিতে বিলম্ব করিলাম । কালের যাত্রার সঙ্গে যে আশীৰ্ব্বাদ আপনার পাইলাম সে আমার সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার। আপনার তুচ্ছতম দানও যে জগতের যে কোন সাহিত্যিকের সম্পদ, আমি এ দান মাথায় করিয়া লইলাম । - আমার ভাগ্য ভালো যে ৩১শে ভাদ্র আপনার কলিকাতায় আসা সম্ভবপর হয় নাই—আসিলে সেদিনের অনাচার দেখিয়া অত্যন্ত ব্যথিত হইতেন। আর সবচেয়ে পরিতাপ এই যে আমার প্রায় সমবয়সী সাহিত্যিকরাই এই উপদ্রবের স্বত্রপাত করিয়াছিল। শুধু এইটুকু সাম্বন যে হয় ত এটাই ইহারা ভালবাসে,— আমি উপলক্ষ্য মাত্র। কারণ, গত বৎসরের জয়ন্তী উৎসবেও ইহার কম দুঃখ দিবার চেষ্টা করে নাই । আমি একদিন নিজে গিয়ে আপনাকে প্রণাম করিয়া আসিতে চাই, শুধু সঙ্কোচে যাইতে পারি না, পাছে কেহ কিছু মনে করে। আপনার শরীর এখন কেমন আছে ? এই ভগ্নস্বাস্থ্য লইয়া কি করিয়া যে এত বড় শারীরিক পরিশ্রম আপনি করিতে পারেন বিশ্বয়ের ব্যাপার । ইতি— - - সেবক ঐশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩১শে ভাদ্র, ১৩৩৯ সালে টাউন হলে দেশবাসীর পক্ষ থেকে শরৎচন্দ্রের যে জন্ম-জয়ন্তী হয় তাহাতে পৌরোহিত্য করিবার কথা ছিল রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু বিশেষ কাজের জন্য রবীন্দ্রনাথ আসিতে না পারায় তাহার লিখিত আশীৰ্ব্বাণী যাহা পাঠাইয়া দিয়াছিলেন নিয়ে তাহা উদ্ভূত হইল : কল্যাণীয়েৰু-শরৎচন্দ্র, বিশেষ উদ্বেগজনক সাংসারিক ঘটনায় তোমার জন্মদিনের উৎসবে সম্মাননা সভায় উপস্থিত থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব হোলো । জগত্যা আমার জাপ্তরিক শুভ কামনা এই উপলক্ষ্যে পত্র-যোগে তোমার কাছে পাঠিয়ে দিই। তোমার বয়স অধিক নয়, তোমার স্বটির ক্ষেত্ৰ এখনো সম্মুখে দীর্ঘ প্রসারিত, তোমার জয়যাত্রার বিরাম হয়নি। সেই অসমাপ্ত যাত্রাপথের মাঝখানে অকস্মাৎ ভোমাকে দাড় কৰিয়ে অর্থ্য দেওয়া আমার কাছে মনে হয় অসাময়িক । এখনো θ08