পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंद्भ९-नांहिङा-नर6छ् পিতা সায় দিয়া ঘাড় নাড়িয়া কহিলেন, তাই বটে! এবং চক্ৰবৰ্ত্তীর প্রতি দৃষ্টি পড়ায় জলিয়া উঠিয়া মূখভঙ্গী করিয়া বলিলেন, আর দাড়িয়ে রইলে কেন হে তাঙ্গাত, বিদায় হও না! আবার গিল্পীকে ডেকে আনা হয়েচে ? নেমকহারাম। জেলে দিলুম না কি না, তাই। দূর হও স্বমুখ থেকে। বামুন বলে মনে করেছিলুম—যাক মরুক গে; যা করেচে তা করেচে ; না হয় ছপাঁচ টাকা দিয়ে দেব—কিন্তু আবার! তোমাকে ঐঘরে পোরাই কর্তব্য ছিল আমার । - কিন্তু মনোরম স্বামীর ভাব দেখিয়া কথাটি কহিতে সাহস করিল না । গোকুল সেই যে মাথা হেঁট করিয়া দাড়াইয়াছিল, ঠিক তেমনি করিয়া একভাবে কাঠের পুতুলের মত দাড়াইয়া রহিল। চক্ৰবৰ্ত্তী কাহারও কোন কথার জবাব না দিয়া প্রভুকে উদ্দেশ করিয়া নম্রস্বরে কহিল, তা হলে খাতাপত্রগুলো আমি নিয়ে চললুম। সিন্দুকের চাবিটা দিন। গোকুল বিনাবাক্যব্যয়ে কোমর হইতে চাবির তোড়াটা চক্ৰবৰ্ত্তীর পায়ের কাছে ছুড়িয়া মেলিয়া দিল । চক্রবর্তী চাবি ট্যাকে গুজিয়া, খাতা বগলে পুরিয়া, হাসি চাপিয়া হেলিয়া দুলিয়া প্রস্থান করিল। তাহার এই প্রস্থানের অর্থ যথেষ্ট প্রাঞ্জল । স্বতরাং কাহাকেও কোন প্রশ্ন না করিয়াই, বদিপাড়ার নিমাই রায়ের কালো মুখের উপর কে যেন সংসারের সমস্ত কালি ঢালিয়া দিয়া গেল । অতঃপর এই মন্ত্রণাগৃহের মধ্যে যে দুগুটি ঘটিল, তাহা সত্যই অনিৰ্ব্বচনীয়। পিতা ও ভ্রাতার এই অচিন্তানীয় বিকট লাঞ্ছনায় মনোরমা জ্ঞানশূন্ত হইয়া স্বামীর প্রতি উৎকট তিরস্কার, গঞ্ছনা, সৰ্ব্বপ্রকার বিভীষিকা-প্রদর্শন, অমুনয়-বিনয় এবং পরিশেষে মর্শাস্তিক বিলাপ করিয়াও যখন তাহার মুখ হইতে পিতার স্বপক্ষে একটা কথাও বাহির করিতে পারিল না, তখন সে মুখ গুজিয়া মৃতপ্রায় হইয়া পড়িল । গোকুল লজ্জায় ক্ষোভে র্কাদ-কঁাদ হইয়া বলিল, মা যে শত্রুত করে এমন হকুম দেবেন, সে আমি কি করে জানব ? নিমাই একটা সুদীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, যাক বাচা গেল ! একটা মস্ত ঝঙ্কাটের হাত এড়ালুম। ওদিকে শিবতুল্য মনিব আমার কাদা-কাটা করচে– আমার কি কোথাও থাকবার জো আছে । তা ছাড়া, দরকার কি আমার ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে ! কিন্তু মা মন্থ, ছেলে-পিলের হাত ধরে যদি পথে দাড়াও—সে ত দাড়াতেই হবে, চোখের উপর দেখতে পাচ্ছি—তখন কিন্তু আমাকে দোষ দিতে পারবে না যে, বাবা একবার ফিরেও তাকালে না । সে বাবা আমি নই, তা বলে যাচ্চি-তা মেয়েই হও অার জামাতাই হও । বলিয়া তিনি জামাতার প্রতিই একটা »8३