পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वकूरéब्र छहेण বিনোদের দু'চক্ষু জালা করিয়া জলে ভরিয়া গেল । চক্ৰবৰ্ত্তী কহিতে লাগিল, এমন বড়ভাই কি কারু হয় ছোটবাবু ? মুখে কেবল বিনোদ আর বিনোদ । আমার বিনোদের মত পাশ কেউ করেনি, আমার বিনোদের মত লেখাপড়া কেউ শেখেনি, আমার বিনোদের মত ভাই কারু জন্মায়নি। লোকে তোমার নামে কত অপবাদ দিয়েচে ছোটবাবু, আমার কাছে এসে হেসে বলেন, চকোক্তিমশাই, শালার কেবল আমার ভায়ের হিংসে করে দুর্নাম রটায় ! আমি তাদের কথায় বিশ্বাস করব, আমাকে এমনি বোকাই ঠাউরেচে শালার ! একটু থামিয়া কহিল, এই সেদিন কে এক কাশীর পণ্ডিত এসে তোমার মন ভাল করে দেবে বলে একশ-আট সোনার তুলসীপাতার দাম প্রায় পাচশ টাকা বড়বাবুর কাছে হাতিয়ে নিয়ে গেছে। আমি কত নিষেধ করলুম, কিছুতেই শুনলেন না ; বললেন, আমার বিনোদের যদি সুমতি হয়, আমার বিনোদ যদি এম. এ. পাশ করে—যায় যাক আমার পাঁচশ টাকা । * বিনোদ চোখ মুছিয়া ফেলিয়া আর্দ্রস্বরে কহিল, কত লোক যে আমার নাম করে দাদাকে ঠকিয়ে নিয়ে যায়, সে আমিও শুনেচি চক্কোত্তিমশাই । চক্রবর্তী গল খাটাে করিয়া কহিল, এই জয়লাল বাড়ুৰ্য্যেই কি কম টাকা মেরে নিয়েচে ছোটবাবু। ওই ব্যাটাই ত যত নষ্টের গোড়া । বলিয়া সে কর্তার মৃত্যুর পরে লেই ঠিকানা বাহির করিয়া দিবার গল্প করিল। ভবানী কোন কথায় একটি কথাও কহেন নাই—শুধু তারই দুই চোখে প্ৰাৰণের ধারা বহিয়া যাইতেছিল। চক্রবর্তী বিদায় লইলে বিনোদ শুইতে গেল ; কিন্তু সারারাত্রি তাহার ঘুম হইল না। কেন এমন একটা অস্বাভাবিক কাও ঘটিল, পিতা তাহাকে একভাবে বঞ্চিত ৰুরিয়া গেলেন, দাদা তাহাকে কিছুই দিতে চাহিতেছে না, চক্ৰৰীয় মুখে আজ সেই ইতিহাস অবগত হইয়া সে ক্রমাগত ইহাই চিন্তা করিতে লাগিল । বিনোদের বন্ধুরা বিশেষ উদ্যোগী হইয়া কয়েকজন সম্রাস্ত ভদ্রলোক সঙ্গে করিয়া রবিবারের সকালবেলা গোকুলের বৈঠকখানায় গিয়া উপস্থিত হইলেন। গোকুল দোকানে যাইবার জন্য প্রস্তত হইতেছিল, এতগুলি ভদ্রলোকের আকস্মিক অভ্যাগমে তটস্থ হইয়া উঠিল। বিশেষ করিয়া ডেপুটিবাবুকে এবং সদরআল গিরিশবাবুকে দেখিয়। উহাদের যে কোথায় বসাইবে, কি করিবে, ভাবিয়া পাইল না। বিনোদ YP ግ