পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বিজয় বলিল, এ-বেলার কথা ছেড়ে দিন, ভেবে দেখব কাল সকালে। আর কুকারটা ত সঙ্গেই আছে, শেষ পর্যন্ত চাকরকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে পারব। কিন্তু তাতে কষ্ট হবে ত ? না। নিজের অভ্যাস আছে, শুধু কষ্ট হতে পারত ছেলের খাবার কষ্ট চোখে দেখলে । কিন্তু সে ভার সে ত আপনি নিয়েচেন । কি রাধচেন এ বেলা ? ঝুড়িটা খুলে দেখুন না যদি কাজে লাগে । কাজে লাগবে বষ্ট কি | কিন্তু এ-বেলা আমার রান্না নেই । নেই ? কেন ? কুমারের একটু গা গরম হয়েচে, রাধলে সে খাবার উপদ্রব করবে। ও-বেলার যা আছে তাতে সস্তোধের চলে যাবে। গা গরম হয়েচে তার ? কোথায় আছে সে ? আছে আমার বিছানায় শুয়ে—সস্তোধের সঙ্গে গল্প করচে । আর বলছিল বাইরে যাবে না, আমার কাছে শোবে । বিজয় বলিল, তা শুক, কিন্তু, বেশী অাদর পেলে মাসীকে ছেড়ে ও বাড়ি যেতে চাইবে না। তখন ওকে নিয়ে বিভ্রাট বাধবে । না, বাধবে না । কুমার অবাধ্য ছেলে নয়। বিজয় বলিল, কি হলে অবাধ্য হয় সে আপনি জানেন, কিন্তু শুনতে পাই আপনার ’পরে সে কম উৎপাত করে না । অনুরাধা কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, ও উপদ্রব যদি করে আমার ওপরেই করে, আর কারো ওপরে না । বিজয় বলিল, সে আমি জানি । কিন্তু মাসীই না হয় সহ করলে, কিন্তু জ্যাঠাইমা সইবে না। তার বিমাতা যদি আসেন তিনি এতটুকু অত্যাচারও বরদাস্ত করবেন না । অভ্যাস বিগড়লে ওর বিপদ ঘটবে যে ! ছেলের বিপদ ঘটবে এমন বিমাতা ঘরে আনবেন কেন ? না-ই বা আনলেন। বিজয় বলিল, আনতে হয় না, ছেলের কপাল ভাঙলে বিমাতা আপনি এসে ঘরে ঢোকেন। তখন বিপদ ঠেকাতে মাসীর শরণাপন্ন হতে হয়, অবশ্য তিনি যদি রাজি হন। অনুরাধা বলিল, যার মা নেই, মালী তাকে ফেলতে পারে না। যত দুঃখে হোক মাছুষ করে তোলেই । কথাটা শুনে রাখলুম, বলিয়া বিজয় চলিয়া যাইতেছিল, ফিরিয়া আসিয়া কহিল, যদি অবিনয় না মনে করেন একটা কথা জিজ্ঞাসা করি । 〉。ク総