পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ উমা কাছেই ছিল, আস্তে বলিলেই চলিত, কিন্তু কণ্ঠস্বর উচুতে চড়াইয়া অদৃপ্ত কাহাকেও লক্ষ্য করিয়া হরিশ উত্তর দিল, যোগীনবাবুর বাড়িতে একটা জরুরি পরামর্শ আছে, দেরি হয়ে যেতে পারে । ফিরিতে দেরিই হইল । রাত্রি বারোটার কম নয় । হরিশ মোটর হইতে নামিয়া বাহিরের ঘরে গিয়া প্রবেশ করিল। কাপড় ছাড়িতে ছাড়িতে শুনিতে পাইল স্ত্রী উপরের জানাল হইতে সোফারকে ডাকিয়া বলিতেছে, আবদুল, যোগীনবাবুর বাড়ি থেকে এলে বুঝি ? আবদুল কহিল, নেহি মাইজী, স্টেশনসে আতেহে । ইষ্টিশান ? ইষ্টিশান কেন ? গাড়িতে কেউ এলে বুঝি ? আবদুল কহিল, কলকাত্তাসে এক মাইজী আউর বাচ্চ আয়া । কলকাতা থেকে ? বাবু গিয়ে তাদের নিয়ে এসে বাসায় পৌঁছে দিলেন বুঝি ? ই, বলিয়া জবাব দিয়া আবদুল গাড়ি আস্তাবলে লইয়া গেল । ঘরের মধ্যে হরিশ আড়ষ্ট হইয়া দাড়াইয়া রহিল। এরূপ সম্ভাবনার কথা যে তাহার মনে হয় নাই তাহ! নয়, কিন্তু নিজের চাকরকে মিথ্যা বলিতে অনুরোধ করিতে সে কিছুতেই পারিয়া উঠে নাই । রাত্রে শোবার ঘরের মধ্যে একটা কুরুক্ষেত্র-কাগু হইয়া গেল । পরদিন সকালেই লাবণ্য ছেলে লইয়া এ-বাটতে আসিয়া উপস্থিত হইল । হরিশ বাহিরের ঘরে ছিল, তাহাকে কহিল, আপনার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় নেই, চলুন আলাপ করিয়ে দেবেন। হরিশের বুকের মধ্যে তোলপাড় করিতে লাগিল। একবার সে এমনও বলিতে চাহিল যে, এখন অত্যস্ত কাজের তাড়া, কিন্তু সে অজুহাত খাটিল না। তাহাকে সঙ্গে করিয়া আনিয়া স্ত্রীর সহিত পরিচয় করাইয়া দিতে হইল । বছর-দশেকের ছেলে এবং লাবণ্য। নিৰ্ম্মলা তাহাদের সমাদরে গ্রহণ করিল। ছেলেকে খাবার খাইতে দিল এবং তাহার মাকে আসন পাতিয়া সযত্নে বসাইল । কহিল, আমার সৌভাগ্য ষে আপনার দেখা পেলাম । লাবণ্য ইহার উত্তর দিয়া বলিল, হরিশবাবুর মুখে শুনেছিলাম আপনি ক্রমাগত বার-ব্রত আর উপবাস করে করে শরীরটাকে নষ্ট করে ফেলেচেন। এখনো ত বেশ एछfकण ८ ॐों८ष्क न1 ।। ২৩e