পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতী খাম ছেড়া, উপরে লাবণ্যের হস্তাক্ষর । হরিশ জিজ্ঞাসা করিল, চিঠি আমার খুলল কে ? ঝি কহিল, মা । হরিশ চিঠি পড়িয়া দেখিল লাবণ্য অনেক দুঃখ করিয়া লিখিয়াছে, সেদিন আমার অম্বখ চোখে দেখে গিয়েও আর একটিবার খবর নিলেন না আমি মরসুম কি বাঁচলুম। অথচ বেশ জানেন এ-বিদেশে আপনি ছাড়া আমার আপনার লোকও কেউ নেই। যাই হোক, এ-যাত্রা আমি মরিনি, বেঁচে আছি। এ চিঠি কিন্তু সে নালিশের জন্তে নয়। আজ আমার ছেলের জন্মতিথি, কোর্টের ফেরত একবার এসে তাকে আশীৰ্ব্বাদ করে যাবেন এই ভিক্ষা – লাবণ্য পত্রের শেষে পুনশ্চ দিয়া জানাইয়াছে যে, রাত্রির খাওয়াটা আজ এইখানেই সমাধা করিতে হইবে । একটুখানি গান-বাজনার আয়োজনও আছে। চিঠি পড়িয়া বোধ করি সে ক্ষণকাল বিমনা হইয়া পড়িয়াছিল । হঠাৎ চোখ তুলিতেই দেখিতে পাইল, ঝি হাসি লুকাইতে মুখ নীচু করিল। অর্থাৎ বাটার দাসীচাকরের কাছেও এ যেন একটা তামাসার ব্যাপার হইয়া উঠিয়াছে। একমুহূর্তে তাহার শিরার রক্ত আগুন হইয়া উঠিল—ইহার কি সীমা নাই ? যতই সহিতেছি ততই কি পীড়নের মাত্রা বাড়িয়া চলিয়াছে ? জিজ্ঞাসা করিল, চিঠি কে এনেচে ? তাদের বাড়ির ঝি । হরিশ কহিল, তাকে বলে দাও গে আমি কোর্টের ফেরত যাব । বলিয়া সে বীরদপে মোটরে গিয়া উঠিল । সে-রাত্রে বাড়ি ফিরিতে হরিশের বস্তুতঃ অনেক রাত্রিই হইল। গাড়ি হইতে নামিতেই দেখিল তাহার উপরের শোবার ঘরের খোলা জানালায় দাড়াইয়া নিৰ্ম্মলা পাথরের মূৰ্ত্তির মত স্তন্ধ হইয়া আছে। ఇ\రీనీ ی 9\سم{?ه ؤ