পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांधलांबू झळन কিন্তু নদীর পথে চলিতে চলিতে গয়ার জ্যাঠাইমার কথাগুলা কানে বাজিতে লাগিল। একে উত্তম জাহারের প্রতি স্বভাবতঃই তাহার একটু অধিক লোভ ছিল। পাটালি-গুড়ের সন্দেশ, দধি, দুগু, চাপাকলা—তাহার উপর চার পয়সা দক্ষিণা—মনটা তাহার দ্রুত নরম হইয়া আসিতে লাগিল । স্নান সারিয়া গয়ারাম প্রচও ক্ষুধা লইয়া ফিরিয়া আসিল। উঠানে দাড়াইয়া ডাক দিল, ফলারের সব শীগগির নিয়ে আয় জ্যাঠাইমা—আমার বডড ক্ষিদে পেয়েচে । কিন্তু পাটালি-সন্দেশ কম দিবি ত আজ তোকেই খেয়ে ফেলব। গঙ্গামণি সেইমাত্র গরুর কাজ করিতে গোয়ালে ঢুকিয়াছিলেন। গয়ার ডাক শুনিয়া মনে মনে প্রমাদ গনিলেন। ঘরে দুধ দই চিড়া গুড় ছিল বটে, কিন্তু চাপকলাও ছিল না, পাটালি-গুড়ের সন্দেশও ছিল না। তখন গয়াকে আটকাইবার জন্য ষা মুখে আসিয়াছিল তাই বলিয়া লোভ দেখাইয়াছিলেন। তিনি সেইখান হইতে সাড়া দিয়া কহিলেন, তুই ততক্ষণ ভিজে কাপড় ছাড় বাবা, আমি পুকুর থেকে হাত ধুয়ে আসছি। শীগগির আয়, বলিয়া হুকুম চালাইয়া গয়া কাপড় ছাড়িয়া নিজেই একটা অসম পাতিয়া ঘটিতে জল গড়াইয়া প্রস্তুত হইয়া বসিল । গঙ্গামণি তাড়াতাড়ি হাত ধুইয়া আসিয়া তাহার প্রসন্ন মেজাজ দেখিয়া খুশি হইয়া বলিলেন, এই ত আমার লক্ষ্মী ছেলে। কথায় কথায় কি রাগ করতে আছে বাবা ! বলিয়া তিনি ভাড়ার হইতে আহারের সমস্ত আয়োজন আনিয়া সম্মুখে উপস্থিত করিলেন । গধারাম চক্ষের পলকে উপকরণগুলি দেখিয়া লইয়া তীক্ষু-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, চাপাকলা কই ? গঙ্গামণি ইতস্ততঃ করিয়া কহিলেন, ঢাকা দিতে মনে নেই বাবা, সব কটা ইদুরে খেয়ে গেছে। একটা বেড়াল না পুষলে আর নয় দেখচি । গয়া হাসিয়া বলিল, কলা কখন ইছরে খায় ? তোর ছিল না তাই কেন বল না ? গঙ্গামণি অবাক হইয়া কহিলেন, সে কি কথা রে । কলা ইদুরে খায় না ? গয়া চিড়-দই মাখিতে মাখিতে বলিল, আচ্ছ খায়, খায় ; কলা আমার দরকার নেই, পাটালি-গুড়ের সন্দেশ নিয়ে আয় । কম আনিসনি যেন । জ্যাঠাইমা পুনরায় ভাড়ারে চুকিয় মিছামিছি কিছুক্ষণ হাড়ি-কুঁড়ি নাড়িয়া সভয়ে বলিয়া উঠিলেন, যাঃ–এও ইম্বন্ধে খেয়ে গেছে বাবা, একফোটা নেই, কখন মন-ভুলাস্তে স্থাড়ির মুখ খুলে রেখেচি Res