পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ মতেই উপলব্ধি করিতে পারিল না, সে টাকাকড়ি দুই হাতে ছড়াইয়া ফেলিবে না ত ফেলিবে কে ? একদিন আমাকে বলিয়াছিলেন, লোকে ভাবে, আমি ব্যক্তিবিশেষের প্রভাবে পড়িয়া বোকের মাথায় প্র্যাকটিস ছাড়িয়াছি । তাহারা জানে না যে, এ আমার বহুদিনের একfস্ত বাসনা, ত্যাগের ছল করিয়াই ত্যাগ করিয়াছি। ইচ্ছা ছিল, সামান্য কিছু টাকা হাতে রাখিব, কিন্তু এ যখন ভগবানের ইচ্ছা নহে, তখন এই আমার ভাল । * কিন্তু এই বিরাট ত্যাগের নিভৃত অন্তরালে আর একজন আছেন—তিনি বাসষ্ঠী দেবী । একদিন উৰ্ম্মিল! দেবী আমাকে বলিয়াছিলেন, দাদার এতবড় কাজের মধ্যে আর একজনের হাত নি:শব্দে কাজ করে, সে আমাদের বে। নইলে দাদা কতখানি কি করতে পারতেন, আমার ভারী সন্দেহ হয় । বাস্তবিক, নন-কো-অপারেশনের প্রথম হইতে ত অনেককেই দেখিলাম, কিন্তু সমস্তু-কিছুর আগোচরে এমন আড়ম্বরহীন শান্ত দৃঢ়তা, এমন ধৈর্য্য, এমন সদাপ্রসন্ন স্নিগ্ধ মাধুৰ্য আর আমার চোখে পড়ে নাই। একস্তি পীড়িত স্বামীকে সেদিন শেষবারের মত কাউন্সিল-ঘরে তিনিই পাঠাইয়াছিলেন । ডাক্তারদের ডাকিয়া বলিলেন, গাড়ি হউক, স্ট্রেচার হউক, যা হউক একটা তোমরা বন্দোবস্ত করিয়া দাও। উনি যখন মন-স্থির করিয়াছেন, তখন পৃথিবীতে কোন শক্তি মাই ওঁকে আটকায় । হাটিয়া যাইবার চেষ্টা করবেন, তার ফলে তোমরা রাস্তার মাঝখানেই ওঁকে হারাইবে । অথচ নিজে সঙ্গে যাইতে পারেন নাই, পথের দিকে চাহিয়া সারাদিন চুপ করিয়া বসিয়াছিলেন। ইংরেজীতে যাহাকে বলে, see be create করা, এই ছিল তাহার সবচেয়ে বড় ভয় । সৰ্ব্বলোকের চক্ষু তাহাতে আকৃষ্ট হওয়ার কল্পনামাত্রেই তিনি সঙ্কুচিত হইয়া উঠেন। আজ এইটিই হইতেছে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। গৃহে গৃহে যতদিন না এমনই সাধী, এমনই লক্ষ্মী জন্মগ্রহণ করিবে, ততদিন দেশের মুক্তির আশা স্বদুরপরাহত। আজ চিত্তরঞ্জনের দীপ্তিতে বাঙ্গলার আকাশ ভাস্বর হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে। তাই মনে হয়, সন্ন্যাসী চিত্তরঞ্জনকে রিক্ত করিয়া লইতেও ভগবান যেমন দ্বিধা করেন নাই, যখন দিয়াছিলেন তখন কৃপণতাও তেমনিই করেন নাই ! অল ইণ্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির মিটিং উপলক্ষে কোথাও দূর পাল্লায় যাইবার প্রয়োজন হষ্টলেই, আমার কেমন দুর্ভাগ্য, ঠিক পূৰ্ব্বক্ষণেই আমার কিছু না কিছু दै क्ले २