পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिछिब्र ब्रघ्ननांवली বলিলাম, না । তবে চলুন, ডেকে গিয়ে বসি গে। বলিলাম, ভয়ানক পোকার উৎপাত । দেশবন্ধু হাসিয়া বলিলেন, বিছানায় শুয়ে ছটফট করার চেয়ে সে ঢের স্বসহ। চলুন। দুইজন ডেকে আসিয়া বসিলাম । চারিদিক নিবিড় অন্ধকার, মেঘাচ্ছন্ন আকাশের ফঁাকে ফাকে মাঝে মাঝে তারা দেখা যায়, নদীর অসংখ্য বাক পথে ঘুরিয়া ফিরিয়া স্টিমার চলিয়াছে, তাহার দূরপ্রসার সার্চলাইটের আলো কখনও বা তীরে বাধা ক্ষুদ্র নৌকার ছাতে, কখনও বা তরুশিরে, কখনও বা জেলেদের কুটরের চূড়ার গিয়া পড়িতেছে। দেশবন্ধু বহুক্ষণ স্তৰভাবে থাকিয়া সহসা বলিয়া উঠিলেন, শরংবাৰু নদীমাতৃক কথাটার সত্যকার অর্থ যে কি, এ-দেশে যারা না জন্মায়, তারা জানেই না। এ আমাদের চাই-ই চাই । _ এ-কথার তাৎপৰ্য্য বুঝিলাম, কিন্তু চুপ করিয়া রছিলাম। তাছার পরে তিনি এক কত কথাই না বলিয়া গেলেন । আমি নিঃশব্দে বসিয়া রছিলাম। উত্তরের প্রয়োজন ছিল না ; কারণ সে-সকল প্রশ্ন নহে, একটা ভাব। তাহার কবি-চিত্ত কি হেতু জানি না, উদ্বেলিত হইয়া উঠিয়াছিল । হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনি চরকা বিশ্বাস করেন ? বলিলাম, আপনি যে বিশ্বাসের ইঙ্গিত করচেন, সে বিশ্বাস করিনে । কেন করেন না ? বোধ হয় অনেকদিন অনেক চরকা কেটেচি বলেই । দেশবন্ধু ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন, এই ভারতবর্ষে ত্ৰিশ কোটি লোকের পাঁচ কোটি লোকও যদি স্বতে কাটে ত ঘাট কোটি টাকার স্বতে হতে পারে । বলিলাম, গারে। দশ লক্ষ লোক মিলে একটা বাড়ি তৈরীতে হাত লগালে দেড় সেকেণ্ডে হতে পারে। হয়, আপনি বিশ্বাস করেন ? দেশবন্ধু বলিলেন, এ দুটো এক বস্তু নয় কিন্তু আপনার কথা আমি বুঝেচি,— সেই দশ মণ তেল পোড়ার গল্প। কিন্তু তবুও মামি বিশ্বাস করি। আমার ভারী ইচ্ছে হয় যে, চরকা কাটা শিখি, কিন্তু কোনরকম হাতের কাজেই আমার কোন পটুতা নেই। বলিলাম, ভগবান আপনাকে রক্ষণ করেচেন। দেশবন্ধু হাসিলেন, বলিলেন, আপনি হিন্দু-মুসলিম ইউনিটি বিশ্বাস করেন ? ३ ॐé