পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আমার এ-সৰ কথার কথা নয়,-উদ্দীপনাপূর্ণ স্বদেশী লেকচার নয়—সত্য সত্যই ষা আমি সত্য বলে বুঝেছি তাই কেবল আপনাদের কাছে বলছি। মানুষের এক প্রকার শিক্ষা আছে, যা কেবল নিছক ব্যক্তিগত স্থখ ও স্ববিধার খাত্তিরে মামুযে অর্জন করতে চায় । যে mentality থেকে আমাদের এদেশে কেউ কেউ ইংরিজী ভাষাটা সাহেবের গলায় বলাটাকেই চরম উন্নতি জ্ঞান করে; এবং এই mentality-রই এক ধাপ নীচের লোকগুলো জাহাজে এবং রেলগাড়িতে সাহেবী পোষাক ছাড়া কিছুতেই বেড়াতে চায় না। এবং এই জিনিসটা এত ইতর, এত ক্ষুদ্র যে, এ কেন হয়, এর কি উদ্দেশু এ বিষয় আলোচনা করতেও ঘৃণা বোধ হয়। কিন্তু আমি নিশ্চয় জানি এই ছদ্মবেশের হীনতা, এই আপনার কাছ থেকে আপনাকে লুকোবার পাপ, এবং গভীর লাঞ্ছনা আপনার অনায়াসেই উপলব্ধি করতে পারেন। এবং প্রসঙ্গক্রমে এ-কথা কেন যে উত্থাপিত করলাম তাও বুঝতে আপনাদের বাকী থাকবে না। এইখানে জাপানের কথা স্মরণ করে কেউ কেউ বলতে পারেন, এই যদি সত্য তবে জাপান আজ এমন হ’লো কিসের জোরে ? তার চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেকার ইতিহাসটা একবার ভেবে দেখ ! আমি ভেবে দেখেছি। পশ্চিমের শুক্রাচার্য্যের শিষ্যত্বের জোরেই যদি সে আজ বড় হয়ে থাকে, তবে বড়ত্বটাও বেশ মেপে দেখেছি আমরা শুক্রাচার্ধ্যেরই মাপকাঠি দিয়ে। কিন্তু মানবত্ব-বিকাশের সেই কি শেষ মানদণ্ড ? জাতীয় জীবনে এই দু’শো পাঁচশো বছরের ঘটনাই কি তার চরম ইতিহাস ? আমি জাপানের ইতিহাস জানিনে। তার কি ছিল এবং কি হয়েছে। এ-বিষয়ে আমি অনভিজ্ঞ, কিন্তু এই তার পার্থিব উন্নতির মূলে, পশ্চিমের সভ্যতার পদতলে যদি তার আত্মসমর্পণের সূচনাই করে থাকে ত তারস্বরে আনন্দধ্বনি করবার বোধ হয় বেশী কারণ নেই। এবং এমন দুদিন যদি কখনো ভারতের ভাগ্যে ঘটে—সে তার বিগত জীবনের সমস্ত tradition বিশ্বত হয়ে ঠিক অতখানি উন্নত হয়েই ওঠে, এক কালে চামড়া ছাড়া পশ্চিমের সঙ্গে তার কোন প্রভেদই না থাকে ত ভারতের ভাগ্যবিধাতা উপরে বসে সেদিন হাসবেন কি নিজে চুল ছিড়বেন বলা কঠিন । কোন বড় জিনিসই কখনো নিজের অতীতের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে নিজের শক্তির প্রতি বিশ্বাস হারিয়েই হয় না-হবার জো-ই নেই। তাদের যে বিষ্ঠাটার প্রতি আমাদের এত লোভ, তা তাদের মাথায় হাত বুলিয়েই শিখে নিই, বা পায়ে তেল মাখিয়েই অর্জন করি—এর ফল অত্যস্ত ক্ষণস্থায়ী যদি না সে দেশের প্রতিভার ভিতর থেকে স্বই হয়ে ওঠে, এর মূল যদি না জাতির অতীতের মর্শ্বস্থল বিীর্ণ করে এসে VցչԵր