পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशब्लांबँौ জন্তই কি আমরাও বিশ্বাস করিব না এবং এই যুক্তিবলেই দেশের সর্বপ্রকার রাজকার্ধ্যের সহিত অসহযোগ করিয়া বসিয়া থাকিব ? গভর্ণমেণ্ট ইহার কি কি কৈফিয়ৎ দিয়া থাকেন জানি না, খুব সম্ভব কিছুই দেন না, দিলেই হয়ত ওই মণ্টেণ্ড সাহেবের মতই দেন—ম্বাহার মধ্যে বিস্তর ভাল কথা থাকে, কিন্তু মানে থাকে না । কিন্তু তাহাদের অফিসিয়াল বুলি ছাড়িয়া যদি স্পষ্ট করিয়া বলেন, “তোমাদের এই সকল দিয়া বিশ্বাস করি না খুব সত্য কথা, কিন্তু সে শুধু তোমাদেরই মঙ্গলের নিমিত্ত ।” আমরা রাগ করিয়া জবাব দিই, “ও আবার কি কথা ? বিশ্বাস কি কখনও একতরফা হয় ? তোমরা বিশ্বাস না করলে আমরাই বা করিব কি করিয়া ?” অপর পক্ষ হইতে যদি পাণ্ট। প্রশ্ন আসিত, ও বস্তুট দেশ কাল-পাত্র-ভেদে একতরফা হওয়া অসম্ভবও নয়, অস্বাভাবিকও নয়, তাহা হইলে কেবলমাত্র গলার জোরেই জয়ী হওয়া ষাইত না । এবং প্রতিপক্ষ সাধারণ একটা উদাহরণের মত যদি কহিতেন, পীড়িত রুগ্ন ব্যক্তি যখন অস্ত্রচিকিৎসায় চোখ বুজিয়া ডাক্তারের হাতে আত্মসমর্পণ করে, তখন বিশ্বাস বস্তুটা একতরফাই থাকে পীড়িতের বিশ্বাসের অঙ্গরূপ জামিন ডাক্তারের কাছে কেহ দাবী করে না এবং করিলেও মেলে না ! চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা, পারদর্শিতা, তাহার সাধু ও সদিচ্ছাই একমাত্র জামিন এবং সে তাহার নিছক নিজেরই হাতে । পরকে তাহা দেওয়া যায় না। রোগীকে বিশ্বাস করিতে হয় আপনারই কল্যাণে, আপনারই প্রাণ বাচাইবার জন্ত । এ পক্ষ হইতেও প্রত্যুত্তর হইতে পারে, ওটা উদাহরণেই চলে, বাস্তবে চলে না। কারণ, অসঙ্কোচে আত্মসমর্পণ করিবার জামিন আছে, কিন্তু তাহ ঢের বঙ্ক, এবং তাহা গ্রহণ করেন চিকিৎসকের হৃদয়ে বসিয়া ভগবান নিজে । তার আদায়ের দিন যখন আসে, তখন না চলে ফাকি, না চলে তর্ক। তাই বোধ হয় সমস্ত ছাড়িয়া মহাত্মাঙ্গী রাজশক্তির এই হৃদয় লইয়াই পড়িয়াছিলেন । তিনি মারামারি, কাটাকাটি, অস্ত্র-শস্ত্র, বাহুবলের ধার জিয়া যান নাই, তার সমস্ত আবেদন-নিবেদন, অভিষোগঅমুযোগ এই আত্মার কাছে। রাজশক্তির হৃদয় বা আত্মার কোন বালাই না থাকিতে পারে, কিন্তু এই শক্তিকে চালনা যাহারা করে, তাহারাও নিষ্কৃতি পায় নাই। এবং সহানুভূতিই যখন জীবের সকল মুখ-দুঃখ, সকল জ্ঞান, সকল কৰ্ম্মের আধার, তখন ইহাকেই জাগ্রত করিতে তিনি প্রাণপণ করিয়াছিলেন । আজ স্বার্থ ও অনাচারে ইহা যত মলিন, যত আচ্ছন্নই না হইয়া থাক, একদিন ইহাকে নিৰ্ম্মল ও যুক্ত করিতে পারিবেন, এই অটল ৰিশ্বাস হইতে তিনি এক মূহূৰ্ত্তও বিচু্যত হন নাই। কিন্তু লোত ও মোহ দিয়া স্বাধকে, ক্রোধ ও বিদ্বেষ দিয়া হিংসাকে নিবারণ করা যায় না, তাহা