পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-সঙ্কলন সেদিন জনকম্বেক ছেলে এসে তোমার মনের পরশের ভারী মুখ্যাতি করছিলো। তারা বলে এ বইটির সম্বন্ধে আমি যা বলেছিলাম তা বাস্তবিক সত্য। শুনে বড় খুশী হয়েছিলাম।••••••ঐশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। (8) সামভাবেড়, ১৩-৬-২৯ মন্টু,—তোমার নামে তো আর ওয়ারেন্ট ছিল না ষে সাধু হতে গেলে ? ব্যস, আর না । এই পত্র পাবা মাত্র চলে আসবে। আবার না হয় দিন-কতক পরে ষেম্বো ক্ষতি নেই। আমি অভিজ্ঞ ব্যক্তি, আমার কথাটা গুনো। তোমার বয়সে জামি চার-চারবার সন্ন্যাসী হয়েছি । ও অঞ্চলে বোধ করি মাছি আর মশা কম, নইলে হিন্দুস্থানী...দের পিঠের চামড়া ছাড়া কার সাধ্য সে দংশন সহ করে। এ বাঙ্গালীর পেশা নয় বাপু, কথা শোন, চলে এসো। তুমি এলে এবার একসঙ্গে বর্ধার পরে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতবর্ষ একবার বেড়াতে ষারো। তুমি সঙ্গে না থাকলে খাতির পাওয়া যাবে না, খাওয়া-দাওয়ারও তেমন সুবিধে ঘটবে না। কবে আসচে পত্রপাঠ লিখে পাঠাবে। আমি ইস্টিসানে যাব । আর একটি কথা। বারীন ( বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ) শুনেছি যে-কোন গাছের পাত তোমার নাকের ডগায় রগড়ে দিয়ে যে-কোন ফুলের গন্ধ শুকিয়ে দিতে পারে। উপেন বাড়ুৰ্য্যে বলে এটা সে কৰ্ত্তার ( শ্রীঅরবিন্দ ) কাছ থেকে মেরে নিয়েচে । আসবার সময় এটা তুমি শিখে নেবে। হঠাৎ সে মানবে না, কিন্তু ছেড়ে না। দিনকতক তার আন্দামানের বঁাশীর খুব তারিফ করতে থাকবে এবং বইখানা সৰ্ব্বদাই হাতে হাতে নিয়ে বেড়াবে। এবং এ-বই এতদিন যে পড়েনি এই বলে মাঝে মাঝে তার স্বযুখে অনুতাপ প্রকাশ করবে। খুব সম্ভব এই হলেই 'বিভূতিটা হস্তগত করে নিতে পারবে। উত্তর-ভারতে বেড়াবার সময়ে এটা বিশেষ কাজে লাগবে। অনিলবরণ ( অনিলবরণ রায় ) শুনেছি নাকি মাটির গুড়োকে চিনি করে দিতে পারে। বেশীক্ষণ থাকে না বটে, কিন্তু ৫/৭ ঘণ্টা চিনির মত দেখতেও হয়, খেতেও লাগে । এটা নিশ্চিত শিখে আসবার চেষ্টা কোরো । হঠাৎ টাকাকড়ি ফুরিয়ে গেলে পথে ঘাটে বিদেশে,—বুঝেচ ত ? এটা শেখাই চাই। অনিলবরণ লোকটি সরল ও ভালো মানুষ,—একান্তই যদি শেখাতে আপত্তি করে তো ভূত-পেস্ত্রীর গল্প করবে। হলফ করে বলবে ষে পেত্নী তুমি চোখে দেখেচে । তার পরে ভাবতে হবে না,-অনাস্বাসে কৌশলট মেরে নিতে পারবে, আর এ দুটো যদি সত্যি শিখে নিতে পারো ত ওখানে কষ্ট করে থাকবারই বা দরকার কি ? e१é