পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ অনেককাল তোমাকে দেখিনি। ভারী দেখবার ইচ্ছা হয়, গান শোনবার সাধ হয়। কবে আসবে জানিয়ো । আমার স্নেহাশীৰ্ব্বাদ জেনো—শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । পুঃ–‘বিভূতি’ দুটো আদায় করে জানা চাই। সময়ে অসময়ে ভারী কাজে লাগে। ষাই হোক শীঘ্ৰ চলে এসো। সন্ন্যাসী হওয়া ভারী খারাপ মন্টু, আমার কথা ৰিশ্বাস কর । আজকালকার দিনে কিছু মজা নেই। কবে আসবে নিশ্চয় লিখে । (e) जांभङां८वफ़, 8र्टी कांख्न ४००१ পরম কল্যাণীয়ে,—মন্টু তোমার চিঠি পেলাম।“ তোমার নতুন কাগজ আমাকে পাঠিও। আমি ছাড়া পরিচিত ধারা, তাদেরও নেবার জন্তে বলে দেবো । তোমার লেখা বেরুবে, ওটা পড়বার আমার সত্যি আগ্রহ হয়। তুমি লিখেচো সাহিত্য ব্যাপারে আমার কাছে তুমি ঋণী, —অন্ততঃ এর সংষম সম্বন্ধে । ঋণের কথা আমার মনে নেই, কিন্তু এই কথাটা তোমাদের অনেকবার বলেচি ষে, কেবল লেখাই শক্ত নয়, না-লেখার শক্তিও কম শক্ত নয় । অর্থাৎ ভেতরের উচ্ছ্বাস ও আবেগের ঢেউ যেন নিরর্থক ভাসিয়ে নিয়ে না যায়। আমি নিজেই যেন পাঠকের সবধানি আচ্ছন্ন করে না রাখি । অ-লিখিত অংশটা তারাও যেন নিজেদের ভাৰ, কচি এবং বৃদ্ধি দিয়ে পূর্ণ করে তোলবার অবকাশ পায়। তোমার লেখা তাদের ইঙ্গিত করবে, আভাস দেবে, কিন্তু তাদের তল্পি বইবে না। জলধর-দা ( রায় বাহাদুর জলধর সেন ) তার কি একটা বইয়ে মরা-ছেলের বাপ-মায়ের হয়ে পাতার পর পাতা এত কায়াই কাজলেন যে, পাঠকের শুধু চেয়েই রইলো, কাদবার ফুরসৎ পেলে না। বস্তুতঃ লেখার অসংযম সাহিত্যের মধ্যাদা নষ্ট করে দেয় ।••• বাড়ুষ্যে চমৎকার লিখতেই পারেন, কিন্তু চমৎকার মা-লিখতে পারেন না। আর এক ধরণের অসংযম দেখতে পাই অ-র লেখায়। ছেলেটি লেখে ভালো, বিলেতেও গেছে,–এ যাওয়াটা ও একট। মুহূর্তের জন্তেও ভুলতে পারে না । বিলেতের ব্যাপার নিয়ে ওর লেখার এমনি একটা অরুচিকর ভক্তিগদ্‌গদ্‌ আদেক্লেপনা প্রকাশ পায় ৰে, পাঠকের মন উৎপীড়িত রোধ করে । আমার গিরীন মামাকে মনে পড়ে । একবার বৈষ্ণব মেলা উপলক্ষে আমরা শ্ৰীধাম পেতুরীতে গিয়াছিলাম। মামার বিশ্বাস ছিল খেতুরীর প্রসাদ খেলে অম্বল সারে। স্টীমার থেকে গঙ্গার তীরে নেৰেই মামা অ্যাঃ—করে উঠলেন। দেখি ভয়াওঁ মুখে এক পা উচু করে আছেন। কি হ’লে ?