জীবানন্দ। এক্ষুনি তুমি গিয়ে সেটা পাকাপাকি করগে। লিখে দাও জমি তারা পাবে।
প্রফুল্ল। তাই হবে।
জীবানন্দ। আজ যে পূজার বড় ভীড় দেখছি। না, রোজই এই-রকম।
জনার্দ্দন। আজকের একটু বিশেষ আয়োজন ত আছেই, তা ছাড়া এই চড়কের সময়টায় কিছুদিন ধরে এমনিই হয়। লোকজনের ভীড় এখন বাড়তেই থাকবে।
জীবানন্দ। তাই নাকি? বেলা হ’লো, এখন তা হলে আসি (হাসিয়া) একটা মজা দেখেচেন রায়মশায়, চণ্ডীগড়ের লোকগুলো প্রায়ই ভুলে যায় যে, জমিদার এখন কালীমোহন নয়—জীবানন্দ চৌধুরী। অনেক প্রভেদ না?
জীবানন্দ। এখানে বীজগাঁ'র প্রজা নয় এমন একটা প্রাণীও নেই। ঠিক না শিরোমণিমশায়?
শিরোমণি। তাতে আর সন্দেহ কি হুজুর!
জীবানন্দ। না, আমার সন্দেহ নেই, তবে আর কারও না সন্দেহ থাকে। আচ্ছা, নমস্কার, শিরোমণিমশায়, চললাম। (হাসিয়া) কিন্তু ভৈরবী-বিদায়ের পালটা শেষ করা চাই। প্রফুল্ল, যাওয়া যাক।
শিরোমণি। (জমিদার সত্যই গেল কি না উকি মারিয়া দেখিয়া) জনাৰ্দন, কিরূপ মনে হয় ভায়া?
জনার্দ্দন। মনে ত অনেক কিছুই হয়।
শিরোমণি। মহাপাপিষ্ঠ—লজ-সরম আদৌ নেই।
জনার্দ্দন। (গম্ভীর মুখে) না।
শিরোমণি। ভারি দুর্ম্মুখ। মানীর মান-মর্যদা জ্ঞান নেই।
জনার্দ্দন। না।
শিরোমণি। কিন্তু দেখলে ভায়া কথার ভঙ্গী? সোজা না বাঁকা, সত্য না মিথ্যা, তামাসা না তিরস্কার, ভেবে পাওয়াই দায়। অৰ্দ্ধেক কথা ত বোঝাই গেল না, যেন হেঁয়ালি! পাষণ্ড সত্যি বললে, না আমাদের বাঁদর নাচালে ঠিক ঠাহর করা গেল না। জানে সব, কি বল?