পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শী প্রফুল্ল । (হাসিয়া ) এই নিয়ে ক’বার হ'লে দাদা ? 町 জীবানন্দ। (হাসিয়া ) এই মীমাংসাটা আজ না হয় বাকী থাক প্রফুল্প, যদি বেঁচে থাকো ত একদিন দেখতে পাবে আশা করি। [ বেহার পুনরায় প্রবেশ করিল ] বেহারা। এই পিস্তলটা ভুলে টেবিলের ওপর ফেলে রেখে এসেছিলেন। জীবানন্দ। ভুলেই এসেছিলাম বটে, কিন্তু ওতেও আর কাজ নেই, তুই নিয়ে बां । প্রফুল্ল। কিন্তু রাত প্রায় এগারটা হ’লো, বাড়ি চলুন ? জীবানন্দ । না, বাড়ি নয় প্রফুল্প, এখন একলা অন্ধকারে একটু ঘুরতে বার হবো। প্রফুল্ল। একলা ? নিরস্ত্র ? না না, সে হয় না দাদা। অন্ধকার রাত, পথে-ঘাটে আপনার অনেক শত্রু । অন্ততঃ নিত্য-সহচরটিকে সঙ্গে রাখুন। (এই বলিয়া সে ভূত্যের হাত হইতে পিস্তল লইয়া দিতে গেল । ) 、 জীবানন্দ । ( পিছাইয়া গিয়া ) এ-জীবনে ওকে আর আমি ছুচ্চিনে প্রফুল্ল । আজ থেকে আমি এমনি একাকী বার হবে, যেন কোথাও কোন শত্রু নেই আমার। আমার থেকেও কারও কোন না ভয় হোক ; তার পরে যা হয় তা ঘটুক, আমি কারও কাছে নালিশ করব না । * প্রফুল্ল। হঠাৎ হ’লো কি ? না হয়, পাইকদের কাউকে ডেকে দিই ? জীবানন্দ । না পাইক-পিয়াদা আর নয়। তোমরা বাড়ি যাও । প্রফুল্ল । আপনার অবাধ্য হবে না দাদা, আমরা চললাম, কিন্তু আপনিও বেশী বিলম্ব করবেন না আমার অনুরোধ । ( প্রফুল্ল ও বেহার প্রস্থান করিল। জীবানন্দ ধীরে ধীরে নাটমন্দিরের আর একটা দিকে আসিয়া উপস্থিত হইল। একজন থাম ঠেস দিয়া বসিয়া মৃদু-কণ্ঠে নাম-গান করিতেছিল এবং অদূরে চার-পাচজন লোক চাদর মুড়ি দিয়া ঘুমাইতেছিল। জীবানন্দ হেঁট হইয়া অন্ধকারে তাহাকে দেখিবার চেষ্টা করিলেন ) গীত পূজা করে তোরে তারা সার যদি হয় নয়নধারা, শুভঙ্করী নাম তবে মা ধরিস কেন দুঃখ-হর । ግፄ .