পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अब्र६-नांश्डिा-न२&वंझ মুখখানিকেই সৰ্ব্বদিকে ঘিরিয়া সংসারে নিরাসক্ত দরিদ্র পিতা ঈশ্বর চিন্তায় নিমগ্ন, কিছুই তাহার চোখে পড়ে না—সেইখানে রেণু একেবারে একা। ছঙ্গিনে সাক্ষনা দিবার বন্ধু নাই, বিপদে ভরসা দিবার আত্মীয় নাই—সেখানে দিনের পর দিন তাহার কেমন করিয়া কাটিবে ? যদি কখনো এমনি অস্বখে পড়ে—তখন ? হঠাৎ যদি বৃদ্ধ পিতার পরলোকের তাক জাগে—সেদিন ? কিন্তু উপায় নাই—উপায় নাই ! তাহার মনে হইতে লাগিল পিয়রে রুদ্ধ করিয়া তাহারি চোখের উপর যেন সন্তানকে তাহার কাহারা হত্যা করিতেছে। সবিতার চৈতন্য হইল যখন গাড়ি আসিয়া তাহার দরজায় দাড়াইল । উপরে উঠতে কি আসিয়া চুপি চুপি বলিল, মা, বাবু বড় রাগ করচেন। কখন এলেন তিনি ? অনেকক্ষণ। বড় ঘরে বসে বিমলবাবুর সঙ্গে কথা কইচেন । তিনি কখন এলেন ? একটু আগে। এখন হঠাৎ সে-ঘরে গিয়ে কাজ নেই মা, রাগটা একটু পড়ুক । সবিতা ভ্ৰকুটি করিলেন, কছিলেন, তুমি নিজের কাজ করো গে ! তিনি স্বান করিয়া কাপড় ছাড়িয়া বসিবার ঘরে আসিয়া যখন দাড়াইলেন তখন সন্ধ্যার আলো জালা হইয়াছে, বিমলবাবু দাড়াইয়া উঠিয়া নমস্কার করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কেমন আছেন আজ ? ভালো আছি । বসুন। তিনি বসিলে সবিতা নিজেও গিয়া একটা চোঁকিতে উপবেশন করিলেন। বিমলবাবু বলিলেন, শুনলুম আপনি দুপুরের পূৰ্ব্বেই বেরিয়েছিলেন—আজ আপনার খাওয়া পৰ্যন্ত হয়নি । সবিতা কহিলেন, না তার সময় পাইনি । রমণীবাবু মুখ মেঘাচ্ছন্ন করিয়া বসিয়াছিলেন, কহিলেন, কোথায় যাওয়া হয়েছিল थांछ ? সবিতা কহিলেন, আমার কাজ ছিল । কাজ সমস্ত দিন ? মইলে সমস্ত দিন থাকতে যাবো কেন ? আগেই তো ফিরতে পারতুম। } в