পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রছ মার কণ্ঠস্বর পূর্বের চেয়েও মৃদ্ধ হয়ে এলো, বললেন, তাবচি কি জানো সেজবাব, ভাবচি শুধু বারো বছর তোমার কাছে আমার কাটলো কি করে ? বুমিয়ে কি স্বপ্ন দেখছিলুম ? কিন্তু আর না, ঘুম আমার ভেঙেচে। আর তুমি এসে না এ বাড়িতে, আর যেন না আমরা কেউ কারে মুখ দেখতে পাই। বলতে বলতে তার সর্বাঙ্গ যেন ঘৃণায় বার বার শিউরে উঠলো । রমণীবাবু এবার পাগল হয়ে গেলেন, বললেন, এ-বাড়ি কার । আমার। তোমাকে দিইনি । ম। বললেন, সেই ভালে। ষে তুমি দাওনি। এ-বাড়ি আমার নয় তোমারই। কালই ছেড়ে দিয়ে আমি চলে যাবো ; কিন্তু এ-জবাব রমণীবাবু আশা করেননি, হঠাৎ মার মুখের পানে চেয়ে তার চৈতন্ত হোলো—ভয় পেয়ে নানাভাবে তখন বোঝাতে চাইলেন এ শুধু রাগের কথা, এর কোন মানে নেই। মা বললেন, মানে আছে সেজবাৰু । সম্বন্ধ আমাদের শেষ হয়েচে, কিছুতেই সে আর ফিরবে না। রান্ত্রি হয়ে এলো, রমণীবাবু চলে গেলেন । ষে উংসব সকালে এত সমারোহে আরম্ভ হয়েছিল সে যে এমনি করে শেষ হবে তা কে ভবেছিল! রাখাল কহিল, তারপর ? সারদা বলিল, এগুলো ছোট, কিন্তু তার পরেরটাই বড় কথা দেবতা। বিমলবাবুর অভ্যর্থনা বাইরের দিক দিয়ে সেদিন পণ্ড হয়ে গেল বটে, কিন্তু অস্তরের দিক দিয়ে আর এক রূপে সে ফিরে এলো | মার অপমান তার কি যে লাগলো—তিনি ছিলেন পর—হলেন একান্ত আত্মীয়। আজ তার চেয়ে বন্ধু আমাদের নেই। রমণীবাবুকে টাকা দিয়ে তিনি বাড়ি কিনে মাকে ফিরিয়ে দিলেন, নইলে আজ আমাদের কোথায় যেতে হোতো কে জানে । কিন্তু এই খবরটা রাখালকে খুশী করিতে পারিল না, তাহার মন যেন দমিয়া গেল ; বলিল, বিমলবাবুর অনেক টাকা, তিনি দিতে পারেন। এ হয়তো তার কাছে কিছুই নয় –কিন্তু নতুন-মা নিলেন কি করে । পরের কাছে দান নেওয়া তো তার প্রকৃতি নয়। সারদা বলিল, হয়তো তিনি পর নয়, হয়তো নেওয়ার চেয়ে না নেওয়ার জন্তায় হোতো ঢের বেশি । রাখাল বলিল, এ ভাবে বুঝতে শিখলে সুবিধে হয় বটে, কিন্তু বোঝা আমার পক্ষে কঠিন। এই বলিয়া এবার সে জোর করিয়া হাসিতে হাসিতে উঠিয়া দাড়াইল, বলিল, রাত হোলো, আমি চললুম। তোমরা ফিরে এলে আবার হয়তো দেখা ह८च । ክofl