পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dवरदेब नबैिछद्र বাসার সকল প্রকারের ব্যবস্থা করে রেখে এসেচে—আমাদের ধাতে কষ্ট না হয়-এখন না গিয়ে উপায় কি বাবা ? রাখাল শুষ্ক হাসিয়া বলিল, উপায় যে নেই সে আমি জানি। আমার মত নিয়ে আপনি কৰ্ত্তব্য স্থির করবেন সে উচিত নয়, প্রয়োজন নয়। কাল সারদা বলছিলেন আপনি নাকি তাকে বলেচেন ছেলে বড় হলে তার মত নিয়ে তবে কাজ করতে হয় । আপনার মুখের এ-কথা আমি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবো, কিন্তু যে-ছেলে শুধু পরের বেগার খেটেই চিরকাল কাটালো, তার বয়েস কখনো বাড়ে না। পরের কাছেও না, মায়ের কাছেও না। আমি আপনার সেই ছেলে নতুন-মা। সবিতা অধোমুখে নীরবে বসিয়া রছিলেন ; রাখাল বলিল, মনে দুঃখ করবেন না নতুন মা, মানুষের অবজ্ঞার নীচে মানুষের ভার বয়ে বেড়ানোই আমার অদৃষ্ট। আপনারা চলে যাবার পরে আমার যদি কিছু করবার থাকে আদেশ করে যান, মায়ের আজ্ঞ আমি কোন ছলেই অবজ্ঞা করবো না । সারদা চুপ করিয়া শুনিতেছিল, সহসা সে যেন আর সহিতে পারিল না, বলিয়া উঠিল আপনি অনেকের অনেক কিছু করেন, কিন্তু এমন করে মাকে খোটা দেওয়া আপনার উচিত নয়। সবিতা তাকে চোখের ইঙ্গিতে নিষেধ করিয়া বলিলেন, সারদ, বলে বলুক রাজু, এমন কথা আমার মুখ দিয়ে কখনো বার হবে না। রাখাল কহিল, তার মানে আপনি তো সারদা নয় মা । সারদাদের আমি অনেক দেখেচি, ওরা কড়া কথার সুযোগ পেলে ছাড়তে পারে না, তাতে কৃতজ্ঞতার ভারট ওদের লঘু হয়। ভাবে দেনা-পাওনা শোধ হোলো । সবিতা মাথা নাড়িয়া বলিলেন, না বাবা, ওকে তুমি বড় অবিচার করলে। সংসারে সারদা একটিই আছে, অনেক নেই রাজু। সারদা মাথা হেঁট করিয়া বলিয়া ছিল, নিঃশবে উঠিয়া চলিয়া গেল। সবিতা মূছকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, তারকের সঙ্গে কি তোমার ঝগড়া হয়েচে রান্ধু ? না মা, তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি । আমাদের নিয়ে যাবার কথা তোমাকে জানায়নি সে ? কোনদিন না। সারদা বলে যে, আমার বাসাতে যাবার সে সময় পায় না। কিন্তু আর না, অামার বাবার সময় হোলো, আমি উঠি । এই বলিয়া রাখাল উঠিয়া দাড়াইল । বিমলবাবু এতক্ষণ পৰ্যন্ত কথাও বলেন নাই, এইবার কথা কছিলেন। সবিতাকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন, তোমার ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় করে দেবে ন নতুনবে ? এমনি অপরিচিত হয়েই দুজনে ৰাকৰো ? Yoo