পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐंस्थाश्व्र छान्जेिछङ्ग কুকারের খাবার ফুটিতে লাগিল, ঘরে আলো জলিতে লাগিল, গায়ের চারটা টানিয়া লইয়া সে দ্বারে তালা বন্ধ করিয়া বাহির হইয়া পড়িল । এ-বাটতে পৌঁছিতে বেশি বিলম্ব হইল না। সোজা সারদার ঘরের সম্মুখে আসিয়া দেখিল তালা ঝুলিতেছে, সে নাই। উপরে উঠিয়া সম্মুখেই চোখ পড়িল ছুখান চোরে মুখোমুখি বসিয়া বিমলবাৰু ও সবিতা । গল্প চলিতেছে। তাহাকে দেখিয়া একটু বিস্থিত হইয়াই প্রশ্ন করিলেন, তুমি কি এতক্ষণ এ-বাড়িতেই ছিলে রাজু ? নাম, বাসায় গিয়েছিলাম। " বাসা থেকে আবার ফিরে এলে ? কেন ? - রাখাল চট্‌ করিয়া জবাব দিতে পারিল না। পরে বলিল, একটু কাজ আছে মা । ভাবলাম তারকের সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয়নি, একবার দেখা করে আসি। কাল তো আর সময় পাওয়া যাবে না । না, আমরা সকালেই রওনা হবো । বিমলবাবু বলিলেন, তারক কি ফিরেচে ? সবিতা কহিলেন, না । ছেলেটা কি যে এত আমাদের জন্য কিনচে আমি ভেৰে পাইনে । বিমলবাবু এ-কথার জবাব দিলেন। বলিলেন, সে জানে তার অতিথি সামান্ত ব্যক্তি নয়। তার মৰ্যাদার উপযুক্ত আয়োজন তার করা চাই। সবিতা হাসিয়া কহিলেন, তাহলে তার উচিত ছিল তোমার কাছে ফর্দ লিখিয়ে নিয়ে যাওয়া । শুনিয়া বিমলবাবুও হাসিলেন, বলিলেন আমার ফর্দ তার সঙ্গে মিলবে কেন নতুন-বোঁ ? ও যার ষা আলাদা। তবেই মন খুশী হয়। এ আলোচনায় রাখাল যোগ দিতে পারিল না, হঠাৎ মনের ভিতরটা যেন জলিয়া উঠিল। খানিক পরে নিজেকে একটু শাস্ত করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, সারদাকে তো তার ঘরে দেখলাম না নতুন-মা ? * সবিতা বলিলেন, আজ কি তার ঘরে থাকবার জো আছে বাবা 1 তারক খাবে, বামুন-ঠাকুরকে সরিয়ে দিয়ে সে দুপুরবেলা থেকেই এক-রকম রাধতে লেগেচে। কত কি যে তৈরী করেচে তার ঠিকানা নেই। বিমলবাবু বলিলেন, সে আমাকেও ষে খেতে বলেচে নতুন-বোঁ । তোমারও নেমস্তন্ন নাকি ? ই, তুমি তো কখনো খেতে বললে না, কিন্তু সে আমাকে কিছুতেই যেতে দিলে मौं ! আজ তাই বুঝি বসে আছে। এতক্ষণ ? আমি বলি বুঝি আমার সঙ্গে কথা কইনার লোভে। বলিয়া সবিতা মুখ টিপিয়া হাসিলেন। 为郡富