পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6ुदङ्ग किक्लिङ्ग নিৰ্ব্বা সবিতা তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে সারদার মুখের পানে তাকাইয়া কি বেন খুজিতে লাগিলেন । ভারক উত্তেজিত হইয়া বলিয়া উঠিল, কি রকম ! কালও নতুন-মার সঙ্গে আপনি হরিণপুরে যেতে প্রস্তুত ছিলেন, আর আজ সকালেই এ-বাড়ি ছেড়ে নড়বার উপায় নেই স্থির করে ফেললেন ! না, ও-সব বাজে ওজর চলবে না, কোনও মেয়েছেলে সঙ্গে না গেলে সেই পাড়াগায়ে একলাটি নতুন-মা—না, না, সে হতেই পারে না। সারদা বিষন্ন-কণ্ঠে কহিল, আমি সত্যি বলচি তারকবাবু, আমার ধাবার উপায় নেই। এ বাজে ওজর নয় । অবিশ্বাসপূর্ণ-কণ্ঠে তারক কহিল, কেন শুনি ? এখানে আপনার কি কাজ ? সারদা স্থির-নেত্ৰে পাষাণ-প্রতিমার ন্যায় দাড়াইয়া রহিল, কোনও জবাব দিল না । কয়েক মূহূৰ্ত্ত অপেক্ষা করিয়৷ তারক কহিল, জবাব দিচ্ছেন না যে ? সারদা তথাপি নিরুত্তর রহিল । তারক হতাশভাবে হাতের নোটবুকখানি ঘরের মেঝেতে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বলিল, তা হলে আর কি করে দুপুরের ট্রেনে আপনার যাওয়া হবে নতুন-মা ? মেয়ে ছেলে কেউ সঙ্গে না থাকলে সেই পাড়াগায়ে নিৰ্ব্বান্ধব স্থানে একলাটি টিকতে পারবেন কেন ? সবিতা এতক্ষণ কথা কহেন নাই। মৃদু হাসিয়া কহিলেন, তারক, গায়ে আমার জন্ম, জীবনের বেশির ভাগ গায়েই কেটেছে, সেখানে আমার কষ্ট হবে না । রুক্ষচোখে সারদার পানে তাকাইয়া তারক বিদ্রুপ-স্বরে বলিল, কে সে মাতব্বর লোকটি জানতে পারি কি, যার বিনা হুকুমে আপনি নতুন-মার সঙ্গেও এ-বাড়ি ছেড়ে যেতে পারেন না ? রাখালবাবু নিশ্চয়ই নয় ? তারকের অসংযত উক্তিতে সারদার মুখ অপমানে রাঙা হইয়া উঠিল। অন্ত দিক পানে স্থিরনেত্রে তাকাইয়া শাস্তকণ্ঠে বলিল, যিনি আমাকে এই বাড়িতে রেখে গেছেন তার বিনা ছকুমে অন্যত্র যাওয়া আমার সম্ভব নয় তারকবার। আপনি অকারণ স্লাগ করচেন । সারদার উত্তরে সবিতা চমকিয়া উঠিলেন । কিন্তু তারক কণ্ঠস্বর অনেকখানিই নিম্নগ্রামে নামাইয়া বিস্মিয়বিমিশ্র সুরে কহিল, কিন্তু তিনি তো বহুদিন নিৰুদেশ । সারদা তারকের প্রতি দৃকপাত না করিয়া সবিতার সামনে আসিয়া নত হইয়া প্ৰণাম করিয়া বলিল, মা, আর সকলে আমাকে ভুল বুঝুক, আপনি ভুল বুঝবেন না নিশ্চয় জানি। সৰিত গভীর স্নেহে সারদার মাথায় হাত বুলাইরা দিয়া আঙুল কটি আপন ওষ্ঠাখরে ঠেকাইলেন । অত্যন্ত গাঢ় অথচ মৃদ্ধস্বরে বলিলেন, সোনাকে পিতল বলে tళి

  • د-سه لا