পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাইিত্য-সংগ্রই তাও তো বটে ! তা হ’লে শুধু বিমলবাবুকেই –আচ্ছা—বিমলবাবু তে কাকাবাবুর পরিচিত ? কাকাবাবুকে জানিয়েই ব্যবস্থা করা যাক না— এটা মঙ্গ যুক্তি নয়। তবে রোগীর এ এবস্থায় তাকে এসব প্রস্তাবে বিচলিত করা হবে না তো ? রাখাল অত্যন্ত কাতরভাবে বলিল, তবে কি করবো সারদা ? ওঁদের কিছু না জানিয়েই কি ধিমলবাবুকে খবর দেবো ? একটু চিন্তা করিয়া বলিল, তাই করুন দেবতা । গোবিন্দজীর ভোগ রাধিতেছিল রেণু । সারদা দূরে বসিয়া তরকারী কুটিতে কুটিতে গল্প করিতেছিল। রেণু কাজ করিতে করিতে ‘ই’ ‘না ‘তার পর এইরূপ সংক্ষিপ্ত দু-একটি কথা কহিতেছিল। সৰ্ব্বদ। এইরূপই ঘটে। রেণু থাকে নিৰ্ব্বাক শ্রোতা, সারদা গ্রহণ করে বক্তার আসন । কত যে গল্প করে ঠিক-ঠিকান নাই। হয়তো নিজের অজ্ঞাতসারেই সারদা সবচেয়ে বেশি গল্প করে তার দেবতার। নতুন-মায়ের গল্পও অনেক বলে, ভাড়াটিয়াদের গল্প তো আছেই। বলে না কিছু রমণীবাবু সম্বন্ধে এবং নিজের অতীত লম্বন্ধে রে কখনও কোন প্রশ্ন করে না, বিন্দুমাত্র কৌতুহল প্রকাশ করে না কোনো বিষয়েই। টান। টানা শাস্ত চোখ দুটি মেলিয়। নীরবে গল্প শুনিয়া যায়। নিপুণ হাত দুখানি ব্যাপৃত থাকে একটা-ন-একটা প্রয়োজনীয় কাজে । বেশী কথা কোনদিনই তার মুখে শোনা যায় না । সারদ। তরকারী কুটিতে কুটিতে বলিতেছিল বিমলবাবুকে দেব তা আজ টেলিগ্রাম করতে গিয়েছেন, কলকাতা থেকে ভাল ডাক্তার নিয়ে এখানে আসবার জন্য। বোধ করি কালকের মধ্যেই তিনি ডাক্তার নিয়ে এসে পড়বেন। রেণুর দৃষ্টিতে বিস্ময় প্রকাশিত হলেও মুখে কোনও প্রশ্ন নিঃস্থত হইল না। সারদ। বলিতে লাগিল, বিমলবাবু এসে পড়লে অনেকটা ভরসা পাওয়া যাবে। উপযুক্ত চিকিৎসা, ওষুধ, পথ্য সমস্ত ব্যবস্থা হবে। কাকাবাবু এইবারে শীঘ্রই মুস্থ श्रब ऊं#८बन । রেঞ্ছ এইবার জিজ্ঞামুনম্বনে সারদার পানে তাকাইল । সারদার তখন আপনমনে বকিয়া চলিয়াছে—অমন মানুষ কিন্তু সংসারে ছুটি দেখলাম না রেণু ! যেমন সদাশয় তেমনি অমায়িক । শুনেচি তিনি কোটপতি, লক্ষ লক্ষ টাকা খাটছে র্তার দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ে, কিন্তু এমন নিরহস্কার সহজৰিনী মাহৰ কোৰাও দেখিনি এর আগে। ধৰাৰ্থ ষাকে শিবতুল্য বলে। এমন না ১৯২