পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইNা বিধাতা এত ঐশ্বৰী দেবেনই বা কেন ? কৰা বলে—মনের গুণে थन ! बेिभणं খনও যেমন, মনও তেমনি। নিৰ্মাক রেন্থ তখন গোবিন্দজীর ভোগ রন্ধন শেষ করিয়া পিতার পখ্য প্রস্তত করিতেছিল। মৌন থাকিলেও সে ষে মনোযোগ সহকারেই সারদার মন্তব্যগুলি শুনিতেছিল তাহা স্পষ্ট বুঝা যায়। সারদার বাক্যস্রোতে উচ্ছ্বাস আসিয়াছে। সে বলিতে লাগিল, বিমলবাবু সেদিন আমাদের সকলকে রক্ষা করেছিলেন পথে দাড়ানোর লজ্জা থেকে। সে-দুদিনের কথা মনে পড়লে আজও আমার চোখে অন্ধকার ঠেকে । যিনি বাড়ি-গুদ্ধ লোকের আশ্রয় বলে, বল-ভরসাই বলে, যা কিছু, সেই মা আমাদের যখন নিরাশ্রয় হতে বললেন, তখন আমাদের যে ভয় ভাবনা ও উৎকণ্ঠা ঘনিয়ে এসেছিল সে শুধু জানেন ঈশ্বর নিজে। বিশেষ করে আমার তো পায়ের নীচে থেকে পৃথিবী সরে যাওয়ার যোগাড় হয়েছিল। মা ছাড়া তখন আমার ইহজগতে অন্ত আশ্রয় বা অবলম্বন কিছুই ছিল না । রেণু তেমনই ৰিস্থিত নয়নে সারদার পানে তাকাইয়া প্রশ্ন করিল, কেন ? সারদা বলিল, তোমাকে সবই বলেচি ভাই। তুমি কি সে-সব কথা ভূলে গেছে ? আমার চরম ছুদিনে মা আমাকে তার স্নেহের আশ্রয় দিয়েছিলেন বলেই না আজ দাড়িয়ে আছি ! রেণু আত্মবিশ্বতভাবে বলিল, তার পর ? তার পরের কাহিনীও তো তুমি শুনেছো ভাই আমার মুখে । আমার পুনর্জন্ম ঘটালেন মা আর এই দেবতা। মাঝে মাঝে এখন ভাবি রেণু, ভাগ্যে সেদিন মরে बांहेनि । রেণু হাসিয়া কহিল, কেন সারাদিদি, সেদিন মরে গেলেই বা আজ তোমার কিসের ক্ষতি হ’তো ভাই ? অনেক ক্ষতি হ’তো । সে যে কত বড় ক্ষতি, ছেলেমান্থব বুঝতে পারবে না বোন। রেণু চুপ করি আপনার কাজ করিতে লাগিল। সারদার তরকারি কাটা শেষ হইলে, বাকী আনাজগুলি ঝুড়িতে গুছাইয়া রাখিতে রাখিতে বলিল, সংসারে যথার্থ খাট জিনিস কিছু পেতে হলে বড় করে তার দাম দিতে হয়। স্থলভের মূল্য অনেক। আমাদের জীবনেও এ নীতি মেনে চলতে হয় ৷ নকল ও ভেজালের সমস্ত মানুষের মধ্যে এত বেশি বেড়ে উঠেচে যে, এখন কোনটা খাটি কোনটা মেকি চেনা কঠিন। জীবনে যতবড় সঞ্চয় যে পেয়েচে বোন, তাকে তত বেশি মূল্যও দিতে হয়েচে গভীর ছঃখের মধ্য দিয়ে। অন্ততঃ এটা ঠিক বুঝেচি যে, দুঃখের কষ্টিপাথরে না পড়লে जैौबाबग्न बांकांदे श्ब बां । - סיסל

  • - هسته ها