পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রই রেণু কোনদিনই কিছু বিশেষ করিয়া জানিবার জন্ত সারাকে প্রশ্ন করিত না । আজ কিন্তু সে হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিয়া বসিল, সারদাদিদি, তোমার নিজের জীবনে তো অনেক দুঃখই পেয়েচো তাই, তাতে খাটি সামগ্রী কি কিছু সঞ্চয় করতে পেরেচো ? সারদা চমকিয়া উঠিল। রেণু যে এরূপ প্রশ্ন করিতে পারে সে সম্ভাবনা তাহার একবারও মনে হয় নাই। একটু বিব্রত হইয়াই বলিল, কি করে বলবে। দিদি । কেন ? যেমন করে এই সমস্ত কথা বলচে । সারদা সহসা অনাবশ্বক গম্ভীর হইয়া বলিল, কিছু করতে পেরেচি কিনা জানিনে, তবে সম্বল ষে পেয়েচি, আর সে যে ষোলো আনাই খাটি, তাতে আমার আর সংশয় নেই। সরলমতি রেণু মমতায় বিগলিত হইয়া কহিল, সারদাদিদি, যে স্বামী তোমাকে একলা অসহায় ফেলে রেখে পালিয়ে রইলেন, তাকে এখনও এত ভক্তি কর তুমি ? সারদা জবাব দিল না। মুখে তার বেদনার চিহ্ন মুস্পষ্ট হইয়া উঠিল। আনাজের ঝুড়ি ও বঁটি লইয়া অন্ত ঘরে রাধিতে উঠিয়া গেল । রাখাল আসিয়া ডাকিল, রেণু ! রাজুদা ? কাকাবাবুর রায়াটা হয়েচে কি বোন ? হয়েচে । এইবার গিয়ে বাবাকে চান করিয়ে দেবো । কাকাবাবু যুমুচ্চেন । তোর যদি রান্না সারা হয়ে থাকে তো একটু ও-ঘরে আয় না, গোটা-কতক কথা আছে । এই যে, আমাদের ভাতটা চড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছি ভাই, চলো । অল্পক্ষণ পরে রেণু যখন হাত-পা ধুইয়া রাখালের নিকট আসিয়া দাড়াইল, রাখাল ঘরের মেঝেয় বসিয়া খবরের কাগজ পড়িতেছিল । মুখ তুলিয়া রেণুকে বলিল, আয়, বোস । রেণু বসিল। বলিল, ডাক্তারবাবু আজ তোমার কাছে কি বলে গেছেন রাজুদা ? ভালোই বলে গেছেন । " তবে কেন তুমি কলকাতায় টেলিগ্রাম করে এলে বড় ডাক্তার নিয়ে আসবার खश्च ? তুই পাগল। গোড়া থেকেই তো গুনচিস্ এখানকার ডাক্তারবাবু বলেচেন, একজন ভাল ডাক্তার আনিয়ে দেখানো দরকার। ঐ রোগের চিকিৎসা গায়ের ডাক্তারের কৰ্ম্ম নয়। হ’তে ম্যালেরিয়া, পিলে, কি পালাজ্বর, ওরা চতুভূজ হয়ে চার হাতে Yoo