পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেবের পরিচয় বিমলবাবু কতক্ষণ মৌন রহিয়া পরে বলিলেন, বৃন্দাবনে কোথায় ওদের রেখে এলে ? . . . . গোবিন্দজীর মন্দিরের কাছাকাছি একটি গলিতে। বাড়িখানি বড়, অনেক ঘর ভাড়াটে থাকে। এরা নিয়েচেন দুখানি শোবার ঘর, একটু রায়ার জায়গা। ভাড়৷ সামান্তই। : বিমলবাবু চিন্ডিত-মুখে বলিলেন, তুমি ছাড়া ওদের দেখাশোনার কেউই রইলো না । আমার মনে হয়, অন্ততঃ কিছুদিনও এ-সময়ে বৃন্দাবনে গিয়ে তোমার थोंकों भद्रकांद्र । - কিন্তু তার ফলে আমার জীবিক যে এখানে অচল হয়ে দাড়াবে ! বিমলবাবু নতমস্তকে চিন্তা করিতে লাগিলেন। অনেকক্ষণ নিঃশব্দে কাটিয়া গেল। রাখাল বলিল, আপনি অদৃষ্ট মানেন কি-না জানি না, আমি কিন্তু মানি । রাখালের কথার উত্তর না দিয়া বিমলবাবু বলিলেন, তুমি বোধ হয় শুনেচেী— তারক হাইকোর্টে বেরুচ্ছে। প্রাকৃটিশ মন্দ হচ্চে না । মনে হয় ওর উন্নতি হবেই। ছেলেটির বড় হবার আকাঙ্ক্ষা খুব । অনেক আশা করেছিলাম, ওর হাতে রেণুকে দেবো । কিন্তু ব্ৰজবাবুর সঙ্গে তো এ-বিষয়ে আলোচনারই সুযোগ হ’লো না । রাখাল বিস্মিত হইয়া বিমলবাবুর পানে চাহিয়া রহিল। বিমলবাবু পুনরায় বলিলেন, তোমার নতুন-মারও তাই ইচ্ছে ছিল। শুনলে হয় তো ব্ৰজবাবুও রাজি হতেন। রাখাল মৃদ্ধ-কণ্ঠে কহিল, কিন্তু তারক কি রাজি হয়েচে ? তাকে এখনও বলা হয়নি। তবে তোমার নতুন-মা তাকে আভাসে কতকটা জানিয়ে রেখেচেন । - রাখাল আবার বলিল, আপনার কি মনে হয়, সে এ-প্রস্তাবে সন্মত হবে ? বিমলবাবু বলিলেন, সন্মত না হবার তো কোন কারণ দেখি না। রেণু সকল কি দিয়েই যোগ্যপাত্রী। একটিমাত্র ক্রটি তার বাপ এখন দরিদ্র। কিন্তু মায়ের ধাৰ্কিটু আছে রেণুই পাবে। তারক নিজে তোমার নতুন-মাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা-ভক্তি করে, তারই কাছে সে রয়েচে, স্বতরাং কোনদিক দিয়েই তার অমত করার কারণ দেখা যায় না । রাখাল চুপ করিয়া রহিল। বিমলবাবু বলিলেন, রাজু, তোমাকে একটি কাজ করতে হবে। রাখাল বলিল, কি বলুন ! তারকের কাছে এই বিবাহের প্রস্তাবটা তোমাকে তুলতে হবে। ’ శిvs هو اسset لا