পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

व्वं ब्र६-नाहिछ7-न९6यह রাখাল আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, আপনি কি শোনেননি রেণু বিবাহ করতে একেবারেই অসন্মত ? তাকে রাজি করবার ভার আমার । তুমি তারকের কাছে কথাটা উত্থাপন করে তার মতামতটা আমাকে জানালে, আমি নিজে বৃন্দাবনে গিয়ে রেণুকে সন্মত করিয়ে আনতে পারবো । রাখাল বলিল, আপনি ভুল করছেন। রেণু বা তারক কেউই এ বিবাহে সম্মত হবে মনে হয় না । বিমলবাবু বলিলেন, রেণুর কথা থাক। তারক কেন রাজি হবে না বল তো ? সে অামি—কি করে বলবো ? তবে সম্ভবতঃ হবে না বলেই মনে হয় । তুমি একবার প্রস্তাব করেই দেখ না। आiछछ । বাসায় ফিরিয়া বাহিরের পরিচ্ছদ না ছাড়িয়াই বিছানার উপর লম্বা হইয়া রাখাল শুইয়। পড়িল। চক্ষু বুজিয়া সম্ভব অসম্ভব কত কি ভাবনা ভাবিতে ভাবিতে খাওয়ার সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেল, খেয়াল রহিল না। বুড়ি নানী কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ হইয়া শয্যাগত আছে, কাজ করিতে আসিতে পারে না, তার দৌহিত্রকে কাজে পাঠায়। নানীর নাতির বয়স বেশি নয়। বছর তেরো-চৌদ্দ হইবে । নাম নীলু। খুব হাসিখুশি ফুৰ্ত্তিবাজ ছেলেটি, সৰ্ব্বদা কণ্ঠে গুন-গুন করিয়া গানের স্বর লাগিয়াই আছে। কাজকৰ্ম্ম বেশ চটপট করিতে পারে, তবে প্রায় প্রতিদিনই রাখালের দুটা-একটা চায়ের পেয়ালা পিরিচ, না হয় কাচের প্লেট বা গ্লাস তার হাতে ভাঙিয়া থাকে। যখনই সে অপ্রতিভ মুখে লম্বা জিভ কাটিয়া রাখালের সম্মুখে আসিয়া দাড়ায়, রাখাল তাহার চেহারা দেখিয়া বুঝিতে পারে আজ আবার কাচের জিনিস একটা গেল। কাচের ভাঙা টুকরাগুলি সাবধানে ফেলিয়া দিতে বলিয়া রাখাল তাহাকে ভবিষ্যতে কাচের সামগ্ৰী সতর্কভাবে নাড়াচাড়া করিবার সন্ধুপদেশ দেয়। তৎক্ষণা প্রবলভাবে মাথা হেলাইয়া সম্মতিজ্ঞাপন করিয়া আবার তিন লাফে নীলু চুটিয়া চলিয়া যায়। রাখাল তাহার নানী বুড়ির নাতিকে আদর করিয়া ডাকে নীলুখুড়ো ! বেলা চারটার সময় নীলু আসিয়া যখন রাখালকে ডাকিয়া জাগাইল, চোখ রগড়াইয়া বিছানায় উঠিয়া বসিয়া তাহার খেয়াল হইল, আজ খাওয়া হয় নাই । বিমলবাবুর সহিত দেখা করিয়া বাড়ি ফিরিয়া কাপড়-জামা না ছাড়িয়া বিছানার গুইয়াছিল, কখন যে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে টের পায় নাই । ३७g