পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰন্থ রাখাল আর কথা কহিল না। সারদ উঠিয়া যাইতেছে দেখিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তারক এখন বাড়ি আছে কি জানো সারদা ? সারদা বলিল, আজ তে কাছারি নেই। সম্ভবত: নীচে র্তার অফিস-কামরাতেই श्रां८छ्न । রাখাল বলিল, তারকের সঙ্গে একটু দরকারী কথা আছে। আমি চললাম, নতুন-মা । সবিতা বলিলেন, চ খেয়ে যেয়ে রাজু। সারদা তুমি যে কচুরী তৈরী করেচে। রাজুকে চায়ের সঙ্গে দিতে ভুলো না। সারদা হাসি-মুখে বলিল, সে তে উনি খেতে চাইবেন না মা, খেলেও নিন্দেই করবেন । রাখালের মন আজ ভাল ছিল না। অন্ত সময় হইলে সারদার এই কথা লইয়াই হয়তো তাহাকে ক্ষেপাইবার জন্য অনেক কিছু বলিত । চিত্ত আজ অপ্রসন্ন বলিয়াই বোধ হয় বিরসকণ্ঠে বলিল, না, ঘরের তৈরি খাবার খাওয়া আমার অভ্যাস নেই সারদা, ইচ্ছেও নেই। র্যাদের জন্য তৈরী করেচো, তাদেরই খাইয়ো । সারদা বিম্মিত-নয়নে রাখালের পানে তাকাইয়া রহিল। তাহার বিবর্ণ মুখের প্রতি দৃষ্টি পড়ামাত্র রাখালের মনের মধ্যে বেদনা ধ্বক করিয়া উঠিল, কিন্তু কোনও কথা না কহিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । সবিতা সারদার পানে তাকাইয়া সস্নেহ সাত্ত্বনার স্বরে বলিলেন, ওর কথায় মনে দুঃখ পেয়ে না সারদা। আমার পরে রাগ করেই ও তোমাকে কঠিন কথা শুনিয়ে গেল। নানা কারণে রাজুর মনের অবস্থা এখন ভালো নেই মা । অকারণে আকস্মিক ভংসিত হইয়া সারদা স্তম্ভিত হইয়া গিয়াছিল। সবিতার সানাবাক্যে রুদ্ধ বেদনা সংযম মানিল না। হঠাৎ ঝর বাবু করিয়া দুই চোখ বাহিয়া জল ঝরিয়া পড়িল । অশ্রশ্লাবিত সারদা আকুল স্বরে বলিল, আমি কি দোষ করেচি মা, দেবতা যখনই যার উপরে রাগ করেন, আমাকেই বিধে কঠিন কথা শুনিয়ে চলে যান। সারদাকে কাছে টানিয়া সবিতা বলিলেন, ও যে তোমাকে আপন জন বলেই মনে করে মা। তোমাকে সত্যিকারের স্নেহ করে বলেই না তোমার পরেই ওর স্বত আঘাত । ওর ষে আপন বলতে সংসারে কেউ নেই সারদা। সারদার উদ্বেলিত অশ্রধারা তখনও সংযত হয় নাই। বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে অভিমানের शन राजिण, आभाद्रहे cशन नश्नाप्द्र नव-कॐ आप्इ भाँ । श्रांबि उी कई बर्षन उषब কাউকে এমন করে কথার খোচায় বিধিনে। ১ সৰিত হাসিয়া বলিলেন, সকলের প্রকৃতি তো সমান হয় না মা। २७६